নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহ করে চিকিৎসক, নার্সসহ চিকিৎসাকর্মীদের মৃত্যুর ঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়ার মামলায় জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে পাঁচ দিনের হেফাজতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Published : 04 Oct 2020, 03:18 PM
প্রথম দিন রোববার বেলা ১২টার দিকে রাজ্জাককে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নূরুল হুদা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ রাজ্জাক এবং কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলা দায়েরের পর পর ওই দিনই রাজ্জাককে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- সিএমএসডির সাবেক উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. শাহজাহান, ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক ও সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার কবির আহমেদ ও জ্যেষ্ঠ স্টোর কিপার মো. ইউসুফ ফকির।
রাজ্জাককে গ্রেপ্তারের পর ওইদিন বিকালে তাকে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে উপস্থিত করে দুদকের এক আবেদনের শুনানি শেষে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে নেওয়ার অনুমোদন দেয়।
দেশে নতুন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত মার্চে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য সিএমএসডি ৫০ লাখ মাস্কের কার্যাদেশ দিয়েছিল জেএমআইকে।
তাদের সরবরাহ করা মাস্ক নকল বলে চিকিৎসকরা অভিযোগ করার পর তা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। তার আগে ২০ হাজার ৬১০টি নকল এন-৯৫ মাস্ক সরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যখাতের ১০ প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছিল।