“ডেন্টাল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট না থাকায় সেখানে থেকে এশিয়ান হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে আমার সন্তান।”
Published : 07 May 2024, 02:13 PM
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পাহাড়ের আঞ্চলিক দুই সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলির সময় গুলিবিদ্ধ শিশু রোমিও ত্রিপুরা মারা গেছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে।
সোমবার রাতে চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার জানান।
সাত বছর রোমিও ত্রিপুরা বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের শিয়ালদহলুই মৌজার প্রবেন ত্রিপুরার ছেলে।
প্রবেন ত্রিপুরা বলেন, “চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাত ১১টায় রোমিওকে পিআইসিইউতে নেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু পিআইসিইউতে কোনো সিট খালি ছিল না।
“তাই অ্যাম্বুল্যান্সে করে ডেন্টাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে চিকিৎসক লাইফ সাপোর্ট লাগবে বলে জানান। ডেন্টাল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট না থাকায় সেখানে থেকে এশিয়ান হাসপাতালে নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে আমার সন্তান।”
এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম গণ্ডছড়া এলাকায় উপজেলার দুর্গম পাহাড়ের শিয়ালদহলুই মৌজায় ইউপিডিএফ (প্রসীত খিসা) এবং জেএসএস (সন্তু লারমা) সদস্যদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির ঘটনায় বাড়ির উঠানে খেলতে থাকা রোমিও ত্রিপুরা তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়।
বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাজেক অস্থায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে রাতেই চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। পরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ও খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আর্থিক অনুদানে দীর্ঘ তিনমাস চট্টগ্রাম মেডিকেলে ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের তত্ত্বাবধানে রোমিও ত্রিপুরার চিকিৎসা চলে।কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে শিশুটি।
প্রবেন ত্রিপুরা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, “আমার সন্তানের মত আর কারও যেনো এমন পরিণতি না হয়।” এইসব সশস্ত্র কর্মকাণ্ড বন্ধ করার দাবিও জানান তিনি।
ইউএনও শিরীন আক্তার বলেন, “শিশু রোমিও ত্রিপুরার পরিবারের পাশে রয়েছি। তাদের দশ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।”