নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া রিজেন্ট হাসপাতালকে সরকার যেসব যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছিল, এখন সেসব ফেরত আনতে সহায়তা চেয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার, সিএমএসডি।
Published : 18 Jul 2020, 01:00 PM
সিএমএসডি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যাবতীয় মালামাল কেনাকাটা এবং বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করে এই প্রতিষ্ঠানটি।
গত ১৩ জুলা্ই স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের কাছে চিঠি পাঠায় এমএসডি। চিঠিতে দেখা যাচ্ছে, বিতর্কিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাহেদের হাসপাতালকে দুটি ডায়ালাইসিস মেশিন, একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট ডিস্টিলড, দুটি আইসিইউ ভেন্টিলেটর ও দুটি ডায়ালাইসিস বেড বেন্ড দেওয়া হয়েছিল।
ওই চিঠিতে সিএমএসডির পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান লিখেছেন, প্রতারণা, জালিয়াতির অভিযোগে সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাবাহিনী অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের উত্তরা ও মিরপুর শাখার কার্যক্রম বন্ধ দিয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে। ইতোপূর্বে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য রেজিস্ট্রেশন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।
“গত ৭ মে সিএমএসডির সাবেক প্রশাসন রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডকে এসব চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে সিলগালা অবস্থায় আছে।
“দীর্ঘদিন এ অবস্থায় থাকলে মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাবে। তা ছাড়া সরকারি টাকায় কেনা সরকারি মালামাল একটি অবৈধ প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার কোনোভাবেই সমীচীন ও গ্রহণযোগ্য নয়।”
চিঠিতে সিএমএসডি পরিচালক আরও লিখেছেন, জরুরি ভিত্তিতে মালামাল সিএমএসডিতে ফেরত আনা দরকার। ফেরত আনা গেলে প্রয়োজনে কোভিড–১৯ চিকিৎসায় নিয়োজিত সরকারি অন্যান্য হাসপাতালে সরবরাহ করা যেতে পারে।
এ অবস্থায় ‘অবৈধ রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের’ অনুকূলে সরবরাহ করা মূল্যবান সরকারি চিকিৎসাসামগ্রী জরুরি ভিত্তিতে সিএমএসডিতে ফেরত আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
চিঠির উপরের কোনায় ‘আর্জেন্ট’ লেখা আছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালকের কাছে এই চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
এসব যন্ত্রপাতি কেন কিভাবে রিজেন্ট হাসপাতালকে দেওয়া হয়েছিল, সে প্রশ্নের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ডা. আমিনুল হাসানের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও ধরেননি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।