হোম
+
ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
Published : 03 May 2019, 08:21 PM
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব শাহ কামাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “দুপুর পর্যন্ত আমরা যে লোকগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসেছিলাম তাদের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৪ হাজার। এই মুহূর্তে সর্বশেষ সংখ্যা হল ১২ লাখ ৪০ হাজার ৭৯৫ জন, কার্যক্রম অব্যাহত আছে।”
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং উপকূলীয় এলাকার ভালো ভবনগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে রূপান্তর করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
“ঝড়ের যে গতি, তাতে আমাদের খুব বেশি ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না।”
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টির আকার বড় বলে এটি এখনও বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করার পরও আকাশ মেঘলা হয়ে গেছে।
“সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। তবে মূল ঝড় এবং এর সঙ্গে যে শক্তিশালী ঝোড়ো হওয়া বয়ে যাওয়ার কথা, তা ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির কারণে দেরি হচ্ছে। আমাদের ধারণা শুক্রবার মধ্য রাতের পর থেকে সেই প্রবল ঝোড়ো হওয়া শুরু হবে।”
দেশের ১৯ জেলার ১৪৭টি উপজেলার ১৩ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা উপকূলীয় এলাকা হিসেবে চিহ্নিত; সেখানে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের বসবাস।
এই ১৯ জেলায় ৪ হাজার ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে, যার বেশিরভাগই প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সচিব জানিয়েছেন, নেভি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, স্বেচ্ছাসেবকসহ রাজনৈতিককর্মীরা উপকূলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার গতির ঝেড়ো হাওয়া সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ফণী।
বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে মোটামুটি এর অর্ধেক শক্তি নিয়ে এ ঝড় শুক্রবার মধ্যরাতের পর খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
