১০ এপ্রিল বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে।
Published : 08 Apr 2025, 10:04 PM
আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নকল বা অসদুপায় অবলম্বন করলে এবং প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বা গুজব ছড়ানোতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো মোর্চা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০’, ‘তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬’ এবং ‘এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা ২০২৫’ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কমিটি জানিয়েছে।
আর ‘সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত’ পরিবেশে পরীক্ষা আয়োজনে সব নাগরিকের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির মঙ্গলবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের গুজব বা ঘটনা ও নকল বা অসদুপায় অবলম্বনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ওই আইনগুলো ও বিধিমালা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
“প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়ালে বা গুজব ছড়ালে এবং নকল ও অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ওই আইনগুলো অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি হবেন।”
১০ এপ্রিল বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নেওয়া হবে এ পরীক্ষা। ১৩ মে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষে ১৫ মে থেকে ২২ মে এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা চলবে।
এবারের এসএসসি পরীক্ষা হবে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে।
অধ্যাপক কবির স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষে পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার হলে আসনগ্রহণ করে; মোবাইল ফোন, যে কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বা নকল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র না আসে এবং সামাজিক যোগাযোগ বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পাওয়ার চেষ্টা না কলে, সে বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক সমাজ, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সব নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করছি।”
চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বসছেন ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে নয়টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষা দেবেন ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন। ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন পরীক্ষা দেবেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ১ হাজার ৫৩৮ জন এবং ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ জন ছাত্রী। ১৮ হাজার ৮৪টি স্কুলের এসব শিক্ষার্থী ২ হাজার ২৯১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন।
দাখিল পরীক্ষায় ছাত্র ১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৩ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৩৩ জন। ৯ হাজার ৬৩টি মাদ্রাসার এসব পরীক্ষার্থী ৭২৫টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
আর এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে ছাত্রের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮৫ জন; ছাত্রী আছেন ৩৪ হাজার ৯২৮ জন।