নতুন বেঞ্চকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল শুনানি শেষ করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
Published : 03 Aug 2023, 12:48 PM
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগ গঠন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সেই রুল শুনানির জন্য হাই কোর্টের বেঞ্চ পরিবর্তন করে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাশের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ২৩ জুলাই ওই রুল জারি করেছিল। এখন বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের বেঞ্চে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের ওপর শুনানি শেষ করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে এদিন শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খানও উপস্থিত ছিলেন। ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আবদুল্লাহ আল মামুন।
ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয় সেখানে।
চলতি বছরের ৬ জুন মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলায় বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা।
ওই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২১ জুন হাই কোর্টে আবেদন করেন মুহাম্মদ ইউনূস। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয় সেখানে।
এ বিষয়ে শুনানি করে গত ২৩ জুলাই রুল জারি করে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাশের হাই কোর্ট বেঞ্চ। শ্রম আদালতে অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে।
এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এর আগেও হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন ইউনূস। সেই আবেদনে ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিল আদালত। একইসঙ্গে মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছিল।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগ ২০২২ সালের ১৩ জুন দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে হাই কোর্টকে নির্দেশ দেয়।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাই কোর্ট শুনানি করে ২০২২ সালের গত ১৭ অগাস্ট রুল খারিজ করে রায় দেয়। ফলে ইউনূসের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
হাই কোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে এরপর আপিল বিভাগেও আবেদন করেছিলেন ইউনূস। গত ৮ মে মুহাম্মদ ইউনূসের আপিলের আবেদনও খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এর ধারাবাহিকতায় শ্রম আদালতে মামলাটি গতি পায় এবং চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।
আরও পড়ুন