আগামী ৩ অগাস্ট পর্যন্ত এ মামলা যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় থাকবে।
Published : 25 Jul 2023, 10:56 PM
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির তিন পরিচালকের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় স্থিতাবস্থা দিয়েছে আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেয়।
আগামী ৩ অগাস্ট পর্যন্ত এ স্থিতাবস্থার আদেশ দেওয়া হয়। ফলে এসময়ের মধ্যে মামলাটি যে আদালতে যে অবস্থায় আছে, সে আদালতে সে অবস্থায় থাকবে।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ। মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন।
শেখ মোরশেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শ্রম আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে করা আবেদনে গত ১৯ জুলাই হাই কোর্ট রুল জারি করেছে। ওই রুল স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে আবেদন করে।
“আদালত স্থগিতাদেশ না দিয়ে আগামী ৩ অগাস্ট পর্যন্ত মামলাটিতে স্থিতাবস্থা দিয়েছে। ওইদিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সে পর্যন্ত মামলাটি যে আদালতে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় থাকবে।”
ইউনূসের শ্রম আদালতের মামলা: অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ
ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালত মামলাটিতে স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। এর ফলে শ্রম আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে থাকা মামলাটি ওই পর্যায়েই থাকবে। আগামী ২৭ জুলাই মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ রয়েছে। শ্রম আদালত সেদিন সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারবে না।
“এছাড়া গত ১৯ জুলাই হাই কোর্ট মামলাটির অভিযোগ গঠন বাতিল নিয়ে যে রুল দিয়েছে, চেম্বার আদালতের এই স্থিতাবস্থা না তোলা পর্যন্ত সেই রুলের শুনানিও হাই কোর্ট করতে পারবেন না।”
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী না করা, অর্জিত ছুটি না দেওয়া এবং কল্যাণ তহবিলে মুনাফার ৫ শতাংশ না দেওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ফৌজদারি মামলা করেন কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনকে আসামি করা হয় মামলায়।
অপর তিন আসামি হলেন গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নুরজাহান বেগম, মো. আশরাফুল হাসান ও মো. শাহজাহান।
গত ৬ জুন শ্রম আইনের ৩০৩(ঙ) ও ৩০৭ ধারার অধীনে আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা।
১৯ জুন শ্রম আদালতের অভিযোগ গঠনের আদেশ স্থগিত এবং আদেশটি বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন মামলার এই চার আসামি। এ বিষয়ে শুনানির পর ২৩ জুলাই হাই কোর্ট দুই সপ্তাহের রুল জারি করে।