এ মামলা বাতিলে এর আগে হাই কোর্টে আবেদন করে বিফল হয়েছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস।
Published : 23 Jul 2023, 07:56 PM
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগ গঠন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ইউনূসের আবেদনে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাশের বেঞ্চ রোববার এ রুল জারি করে।
আদালতে ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন; রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আবদুল্লাহ আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং তা বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। দুই মাসের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।”
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
গত ৬ জুন মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা।
অভিযুক্ত অন্য তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
এই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এর আগে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন ইউনূস। সেই আবেদনে ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছিল আদালত। একইসঙ্গে মামলা কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আপিল বিভাগ ২০২২ সালের ১৩ জুন দুই মাসের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে হাই কোর্টকে নির্দেশ দেয়।
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাই কোর্ট শুনানি করে ২০২২ সালের গত ১৭ অগাস্ট রুল খারিজ করে রায় দেয়। ফলে ইউনূসের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
হাই কোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করেন ইউনূস। গত ৮ মে মুহাম্মদ ইউনূসের আপিলের আবেদনও খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ।