এ দম্পতির দুই পুত্র সন্তানের একজন কলেজে প্রথম বর্ষে এবং অন্যজন অষ্টম শ্রেণিতে পড়েন।
Published : 15 Oct 2023, 11:00 PM
ঢাকার সবুজবাগে এক গৃহবধু হত্যার অভিযোগে প্রকৌশলী স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ; যাকে স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশের পাশেই শুয়ে থাকতে দেখেছেন স্বজনরা।
রোববার নিহতের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাজারবাগের ওই বাসা থেকে প্রকৌশলীকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে তিনি কোনো কথা বলছেন না, একেবারে নিশ্চুপ রয়েছেন।
সবুজবাগ থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, নিহতের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দরজা ভেঙে কানিজ ফাতেমার (৩৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই ঘরে থাকা তার স্বামীকে আটক করা হয়।
এ দম্পতির দুই পুত্র সন্তানের একজন কলেজে প্রথম বর্ষে এবং অন্যজন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
নিহতের স্বামী বুয়েট থেকে পাস করা প্রকৌশলী। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলে ওসি জানান। ফাতেমার গলায় একাধিক রক্তাক্ত জখম রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তার স্বামী তাকে হত্যা করেছে।
সবুজবাগ জোনের সহকারী কমিশনার শোভন চন্দ্র হোড় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আল আমীনকে একই ঘর থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হলেও তিনি মুখ খুলছেন না। তাকে এখন অসুস্থ মনে হচ্ছে, কোনো কথাই বলছেন না। তার কাছ তথ্য বের করতে চেষ্টা চলছে। ওই বাসার ও আশেপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
এ দম্পতির মধ্যে পারিবারিক সমস্যা থাকার প্রাথমিক তথ্যও পুলিশ পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।
ফাতেমার ছোট ভাই মনিরুজ্জামান জানান, তার এক ভাগ্নে ফোন করে জানান তাদের কক্ষটি বাইরে থেকে লাগানো। বাবা-মাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে তাদের কক্ষের লক বাইরে থেকে খোলা হয়। পরে তার বোন ও ভগ্নিপতির কক্ষের কাছে গিয়ে দেখা যায় এটা ভেতর থেকে লাগানো।
তিনি বলেন, “ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখা যায় তার বোন কাঁথা মোড়ানো রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন এবং তার ভগ্নিপতি পাশে শুয়ে আছেন।”
তিনি জানান, কিছু দিন আগে তারা ওমরা হজ পালন করে দেশে আসার পর তার বোন বাবার সবুজবাগের কদমতলার বাসায় উঠেন। তিন-চারদিন আগে স্বামীর রাজারবাগ বাসায় আসেন। তাদের মধ্যে আগে থেকেই দাম্পত্য কলহ চলছিল।
আল আমীন তার স্ত্রীকে নানা কারণে সন্দেহ করতেন উল্লেখ করে মনিরুজ্জামানের অভিযোগ, তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।