আগামী ২৬ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন রেখেছেন বিচারক।
Published : 25 Oct 2023, 09:11 PM
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় তার বন্ধু কুমিল্লা-৮ আসনের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীসহ তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সাক্ষ্য দেওয়া অন্য দুজন হলেন-ব্যবসায়ী আহমেদ সাঈদ এবং ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বেলায়েত হোসেন খান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সদিয়া আফরিন শিল্পী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আগামী ২৬ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এম আলী আহমেদ।
মামলাটিতে ইতোমধ্যে নয়জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে বলে জানান এ আইনজীবী।
জবানবন্দিতে সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী বলেন, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে বনানীর আবেদীন টাওয়ারের ট্রাম্পস ক্লাবে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করা হয়। ক্লাবে ঢোকা নিয়ে সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় সিকিউরিটি গার্ড বা ম্যানেজমেন্টের লোকদের। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
“ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার দিকে আমার স্ত্রী জানায়, সোহেল চৌধুরী মারা গেছে। তার কাছ থেকে প্রথম ঘটনা শুনি। সোহেল চৌধুরীর বাসায় যাই লাশ দেখতে। পরদিন আদনান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য কোনো আসামির নাম জানতে পারিনি।”
আলোচিত এই হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আশীষ চৌধুরী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, আদনান সিদ্দিকী, তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও ফারুক আব্বাসী।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিনই তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।
এই অভিনেতা খুন হওয়ার পর চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
ওই মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। এরপর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০০৩ সালে ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়।
কিন্তু আসামিদের মধ্যে তারিক সাঈদ মামুনের পক্ষে হাই কোর্টে মামলাটি বাতিল চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত একটি রুল দেয়; সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ আসে।
এরপর দীর্ঘদিন মামলাটির নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি সবার নজরে আসে। তারপর বিচারিক আদালতে পুনরায় বিচার শুরু হয়।
১৯৮৪ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে নামের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রেখেছিলেন সোহেল চৌধুরী। একই প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন পারভিন সুলতানা দিতিও। পরে এই তারকা দম্পতি বিয়ে করেন।