গার্ডার দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট

ক্ষতিপূরণ বাবদ মোট পাঁচ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে পরিবারের জন্য।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2022, 05:05 AM
Updated : 17 August 2022, 05:05 AM

ঢাকার উত্তরায় বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের কংক্রিটের গার্ডার আছড়ে পড়ে এক পরিবারের পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

আইনজীবী জাকারিয়া খানের পক্ষে আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম বুধবার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন।

শাহজাহান আকন্দ মাসুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রিটে নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ এক কোটি টাকা করে মোট পাঁচ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে পরিবারের জন্য।”

পাশাপাশি বিআরটি গত পাঁচ বছরে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে কী ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে, সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তলব করার আদেশ চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

আইনজীবী মাসুম জানান, দেশের সকল উন্নয়ন প্রকল্পে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়েও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে তাদের রিট আবেদনে।

বুধবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।

ঢাকা-ময়মনিসংহ মহাসড়কের উত্তরা অংশে জসীম উদ্দীন রোডের মাথায় প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে সোমবার বিকালে বিআরটি প্রকল্পের একটি বক্সগার্ডার ট্রেইলারে তোলার সময় ভারসাম্য হারায় ক্রেইন। বিপুল ওজনের কংক্রিটের গার্ডারটি টঙ্গীমুখী সড়কে চলমান একটি প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে।

ভারী ওই গার্ডারের চাপে মুহূর্তের মধ্যে চ্যাপ্ট হয়ে যায় গাড়িটি। ততে গাড়ির ভেতরেই মৃত্যু হয় পাঁচজনের, দুজনকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে। তারা সবাই এক পরিবারের সদস্য।

ওই ঘটনায় নিহতদের পরিবার উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেছে। চীনা ঠিকাদার কোম্পানি, ক্রেইন চালক এবং প্রকল্পের নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্তদের অবহেলায় এই প্রাণহানি হয়েছে বলে সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকবে।

আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।