“কিছু প্রভাবশালী রাজনীতিক, অত্যন্ত ক্ষমতাশালী দুর্বৃত্ত প্রকৃতির ব্যবসায়ী, তারা এই কাজগুলো করেছেন। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, তাদের লোকেরা এখনও সক্রিয়।”
Published : 24 Oct 2024, 01:17 PM
পাঁচ বছর ‘হয়রানির’ পর দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা প্রত্যাহার করে নিলেও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এগিয়ে চলার পথকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা যে রয়ে গেছে, সে অভিযোগ সামনে এনেছেন দেশের শীর্ষ এ সংবাদমাধ্যমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
তিনি বলেছেন, মামলা উঠেছে ঠিক, কিন্তু মামলার বিভিন্ন অভিযোগের সূত্র ধরে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) বিনিয়োগের শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া এখনো আটকে রাখা হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অষ্টাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন বুধবার এই দীর্ঘ পথচলার অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ রাজনীতিবিদ ও ‘দুর্বৃত্ত প্রকৃতির’ ব্যবসায়ীদের চাপ, সেই সঙ্গে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনাগুলো বর্ণনা করেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
২০১৯ সালের অক্টোবরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ। এরপর তৎপর হয়ে ওঠে একটি মহল।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন শেয়ার হস্তান্তর আটকে দেয়, বিনিয়োগের অর্থ স্থানান্তরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা করে দুদক। নানাভাবে চাপ দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শ্বাসরোধ করার মত পরিস্থিতি তৈরি করা হয়।
শেষ পর্যন্ত এ বছর সেপ্টেম্বরে সেই মামলা প্রত্যাহার করে দুদক। কিন্তু হয়রানির অবসান যে পুরোপুরি হয়নি, সে কথা তুলে ধরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, “পাঁচ বছর আগের বিনিয়োগের সেই শেয়ার হস্তান্তরের নিবন্ধন এখনো করেনি যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) ।”
তিনি বলেন, যেদিন বিনিয়োগ নেওয়া হয়েছে, সেদিনই কত টাকার বিনিয়োগ, কোন উদ্দেশ্যে নেওয়া– সব প্রকাশ করা হয়েছিল।
“সেদিনই সম্ভবত ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বৈঠক করে সেই বিনিয়োগ বন্ধ করবার জন্য আরজেএসসিকে চিঠি দেয়, চিঠি দিয়ে বলা হয় যেন নিবন্ধন না করা হয়। সেই নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা এখনও শেষ করা হয়নি।”
আরো পড়ুন
দুর্নীতির মামলা দিয়ে পাঁচ বছর ধরে হেনস্তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে খালিদী বলেন, “দুদকের একজন কমিশনারের বক্তব্য, তার মেয়াদে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক কাজ করতে তারা বাধ্য হয়েছেন আমার বিরুদ্ধে। বহু কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, এর চেয়ে বাজে কাজ খুব একটা তাদের করতে হয়নি। এত বড় অন্যায়।
“যে আইনজীবী আমার বিরুদ্ধে নর্তনকুর্দন করতেন, সেই আইনজীবী করজোড়ে বলেছেন, এসব মিথ্যা ছিল, মামলা দাঁড়ায় না, মামলা তুলে নেওয়া হোক। মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু আরজেএসসিতে আমাদের নিবন্ধন এখনও করা হয় নাই।”
এর পেছনে ‘দুর্বৃত্ত প্রকৃতির ব্যবসায়ীদের’ পক্ষে অতীতে কাজ ব্যক্তিরা জড়িত থাকতে পারে বলে অভিযোগ করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক।
তিনি বলেন, “ওই দুর্বৃত্ত প্রকৃতির ব্যবসায়ীরা এবং তাদের পক্ষে যারা কাজ করতেন বিভিন্ন রেগুলেটরি কমিশনে, (ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর) উপরের দিকে কিছু পরিবর্তন হলেও বাকিটা রয়ে গেছে।
“এবং তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার চাপের মুখে পড়ে যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, সেই সাক্ষ্যের ভিত্তিতে যে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছিল, সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমাদের সাথে আবার ঝামেলা করার চেষ্টা করা হয়েছে।”
খালিদী বলেন, বিনিয়োগকারী কোম্পানি কোথায় কী করেছে সেটা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের দেখার বিষয় নয়। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ‘অসততা, অন্যায় বা এমন কোনো কিছু করা হয়নি’।
“একটি কোম্পানিকে বাধ্য করা হয়েছে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য। তারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে। সেই মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে যে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, সেটা দিয়ে আমাদের সমস্যা সৃষ্টি করা হয়েছে।”
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, নেপথ্যে কারা কোথায় কীভাবে কাজ করেছে, তার অনেক কিছুই তিনি জানতে পেরেছেন।
সেই বিনিয়োগের আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের মূল কোম্পানির ভ্যালুয়েশন করার পরও ‘মিথ্যা সাক্ষ্য’ দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশ্ন তোলেন প্রধান সম্পাদক।
ওই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদ থেকে সরলেও তার উত্তরসূরীরা একই কায়দায় ‘মিথ্যা কথা বলে গেছে’ বলে অভিযোগ করেন তিনি।
খালিদী বলেন, “এখনকার ডিজিটালাইজড ব্যবসায় পরিবেশে ব্যাংক থেকে ইমেইল করে বলা হয়, এর উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নাই। সেখানে স্বাক্ষরেরও প্রয়োজন নাই। এটি একটি অটোজেনারেটেড চিঠি..
“সেখানে অফিসিয়াল ইমেইল অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অফিসের ইমেইল অ্যাকাউন্টে (তথ্য) পাঠানোর মাধ্যমে যে যোগাযোগ হয়েছে, মেইল চালাচালি হয়েছে- সেটাকে অস্বীকার করা হয়েছে। তারপর দ্বিতীয় দফায় আরেকটি কোম্পানি তাদের নিজস্ব লোকবল দিয়ে মূল্যায়ন করেছে, সেটাকে অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সেখানে কারও স্বাক্ষর ছিল না। তাহলে ইমেইলগুলো কী?”
দুদক ও বিএসইসির যৌথ তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন তৈরি করা হলেও তখনকার এসইসি চেয়ারম্যান সেটা ‘কিছুতেই দিতে চাননি’ বলে অভিযোগ করেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।
পরে সেই চিঠি অন্য মাধ্যমে হাতে পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “দেখা গেল ‘সবই মিথ্যে’। সেটা এখনও ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
“এর একটাই ব্যাখ্যা, একটাই কারণ হতে পারে, একটাই যুক্তি হতে পারে- ওইসব দুর্বৃত্ত ব্যবসায়ী, যাদের বিরুদ্ধে আমার সহকর্মীরা প্রতিবেদন করেছিল, তাদের লোকজন এখনও এসব কমিশনে আছে। হয় তারা এটা করিয়েছে, বা নতুন যারা এসেছে তারা এত অদক্ষ, অযোগ্য- একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ভ্যালুয়েশন কীভাবে করা হয়, সেটা নিয়ে কোনো জ্ঞান নেই।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, “এসব লোকজন দিয়ে পরিবর্তন হবে না। আপনি অন্যায় এবং অবিচারের প্রতিকার করতে পারবেন না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার কথাতো বলা হচ্ছে।… আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে, অন্তত আমাদের এই ক্ষেত্রে।”
তিনি বলেন, চাপে পড়ে বা স্বেচ্ছায় যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাদেরকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে হবে।
আরো পড়ুন
মামলা প্রত্যাহারের পর বিনিয়োগ আটকে রাখার ক্ষতিপূরণ কে দেবে, সেই প্রশ্নও তোলেন খালিদী।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ যদি একটা সভ্য দেশ হত, আইনের শাসনের দেশ হত, তাহলে রাষ্ট্রই ক্ষতিপূরণ দিত। কারণ, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো জড়িত ছিল। দুর্নীতি দমন কমিশন জড়িত ছিল, বিএসইসি জড়িত ছিল। বাংলাদেশের দুই-তিনটা গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত ছিল।
“তাদের একটির (গোয়েন্দা সংস্থা) কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার হাসনাত তিনি আমাদের নাম বলে দিয়ে মন্ত্রীদেরকে বলতেন, আমাদেরকে যেন লাইসেন্স না দেওয়া হয়। সেই অফিসার এখনও চাকরিতে আছেন, তার চাকরি গেছে বলে আমার জানা নাই। যদিও তার মতো অফিসারের কোর্ট মার্শাল করা উচিত।”
এ ধরনের কর্মকাণ্ড যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, সে কথা তুলে ধরে খালিদী বলেন, “ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছে, মানুষের কাছে। ব্যক্তিগতভাবে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানকে হেয় করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের সাংবাদিকদেরকে কাজকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা হয়েছে।
“(বিনিয়োগের) টাকাগুলো তখন যদি আমরা ব্যবহার করতে পারতাম, ওই সময়ে বিনিয়োগ করতে পারতাম, যে কাজগুলো আমরা করতে পারতাম, ফলাফল যেটা আসত, অর্থনৈতিক হোক বা সাংবাদিকতার দিক থেকে হোক… একটা নিউজ পাবলিশিং কোম্পানিতে বটমলাইন সবসময় টাকা না, মুনাফা না; ভালো সাংবাদিকতাটা হচ্ছে বটমলাইন।”
এলআর গ্লোবালের আগে নিউ ইয়র্কভিত্তিক একটি বড় ফাউন্ডেশন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল জানিয়ে প্রধান সম্পাদক বলেন, “আমাদেরকে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল, সিদ্ধান্তও নিয়েছিল- পরে তাদের বোর্ড বাংলাদেশকে দেশ হিসাবে বিনিয়োগ করতে রাজি হয়নি, কোম্পানি হিসাবে আমাদেরকে বাছাই করেছিল।
“সেই একই ভ্যালুয়েশনের ভিত্তিতে। এবং তখন কিন্তু তাদেরকেও (ভ্যালুয়েশনকারী কোম্পানি) আমরা কপিতে রেখেছিলাম। আরেকটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তখনও কিন্তু তাদেরকে (ভ্যালুয়েশনকারী কোম্পানি) এটা জানানো হয়েছিল। তাদের সিইও বলেছিল, ‘প্রয়োজন হলে আমিও বৈঠকে থাকব’।”
তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, এলআর গ্লোবাল পরে নিজস্ব ভ্যালুয়েশনের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করে।
পাঁচ বছর ধরে প্রকাশ্যে হয়রানি করার আগে থেকেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের রাজস্ব আয় নষ্ট করার জন্য ‘প্রচার চালানোর’ অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, “সেই কারণে দুর্বল অবস্থানের সুযোগ বিনিয়োগকারী কোম্পানিও নিয়েছিল। যে ভ্যালুয়েশন হয়েছিল, তার এক-তৃতীয়াংশ মূল্যে আমাদেরকে শেয়ার হস্তান্তর করতে হয়েছিল। যদিও আনুষ্ঠানিক হস্তান্তরের সেই প্রক্রিয়া এখনও শেষ করেনি। কারণ, ওই যে এসইসি থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল– ‘এটা করা যাবে না’।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, তার প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে কোনো অনিয়ম বা আইন ভাঙা হয়নি। আইন কেউ ভাঙলে ‘অন্য কেউ’ ভেঙেছে।
“এটা দেখার দায়িত্ব রেগুলেটরের, এক্ষেত্রে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কিন্তু আমাদেরকে রেগুলেট করে না (যেহেতু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি নয়), অন্যদেরকে করে।
“তারপরও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন সব ধরনের বিধি, নিয়মকানুন ভেঙে আমাদেরকে চিঠি দিয়ে বলেছে, টাকা ফেরত দিতে হবে। আমরা হাই কোর্টে গিয়েছিলাম, কোর্ট আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে।”
এত প্রতিকূলতার মধ্যেও বিচারব্যবস্থা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ‘অনেক কিছু থেকে রক্ষা’ করেছে বলে মন্তব্য করেন খালিদী।
এখনকার পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেখেন কি না, সেই প্রশ্নে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক বলেন, “আমরা যারা লড়াই করতে চাই, ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ সবসময় থাকে। ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ এখনও আছে, সেটা সবসময় থাকে। এখনও কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। আমরা চাই এবং বিশ্বাস করি যে, সেটা ঠিক হয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি।”
তবে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ভ্যালুয়েশন কীভাবে হওয়া উচিত, সেই দৃষ্টিভঙ্গি না থাকা ব্যক্তিদের কারণেও জটিলতা তৈরি হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আপনি বলুন না, আকিজের ১০০ টাকার শেয়ার জাপান টোবাকোর কাছে বিক্রি করা হয়েছে ৬ লাখ ৪১ হাজার টাকায়, আপনি এটা ওইভাবে হিসাব করবেন?
“আপনি যখন পরিশোধিত মূলধনের সঙ্গে ভ্যালুয়েশনের মিল করতে চান, সেটা লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে, যেটা পাবলিকলি ট্রেডেড হয়, সেখানে দেখার বিষয়। প্রাইভেট কোম্পানির ক্ষেত্রে এটা দেখার বিষয় না। এই সহজ বিষয় যদি না বোঝেন, আপনি তাহলে বুঝে না বোঝার ভান করছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।”
সরকার পরিবর্তন হলেও ‘দুর্বৃত্তপ্রকৃতির’ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাজ করা ব্যক্তিরা এখনও অবস্থান ধরে রাখায় নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন খালিদী।
তিনি বলেন, “আসলে অপকর্মের দায় কেউ নিতে চায় না। যারা অপকর্ম করে তারা পালিয়ে বেড়ায়। তাদের আর পরে হদিস পাওয়া যায় না।
“কিছু প্রভাবশালী রাজনীতিক, অত্যন্ত ক্ষমতাশালী দুর্বৃত্ত প্রকৃতির ব্যবসায়ী, তারা এই কাজগুলো করেছেন। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, তাদের লোকেরা এখনও সক্রিয়।”
আরো পড়ুন: