বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান সম্পাদকের জামিন আটকাতে হাই কোর্টে দুদক, রুল জারি

দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জজ আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2020, 07:14 AM
Updated : 8 Dec 2020, 09:24 AM

দুদকের এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়। তৌফিক ইমরোজ খালিদী ও রাষ্ট্রকে ১০ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।

হাই কোর্টে এই শুনানিতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

তৌফিক ইমরোজ খালিদী এ মামলায় হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন পাওয়ার পর তা আটকাতে চেম্বার আদালত এবং পরে আপিল বিভাগে গিয়েও সাড়া পায়নি দুদক।

আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েশ গত ২০ অক্টোবর তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত জামিন দেয়। সেই আদেশ চ্যালেঞ্জ করেই আবার হাই কোর্টে এসেছে দুদক।

এদিকে ২৫ নভেম্বর বিশেষ জজ আদালত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদকের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করে।

সেদিনই শুনানিতে দুদকের আইনজীবী হাই কোর্টে এই আবেদন করার কথা জানান, যার ওপর মঙ্গলবার শুনানি শেষে রুল জারি হল।

‘অসাধু উপায়ে’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে গত ৩০ জুলাই এই মামলা করে দুদক। তৌফিক ইমরোজ খালিদী বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

এ বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছিল গত বছরের শেষ ভাগে, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ পাওয়ার খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সংবাদ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করার পর।

বিনিয়োগের ওই টাকাই ‘অবৈধ প্রক্রিয়ায়’ অর্জন করা হয়েছে বলে সাড়ে আট মাস পর দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করে দুদক।

অন্যদিকে তৌফিক ইমরোজ খালিদীর ভাষায়, “ওই এফআইর ভুলে ভরা। তথ্যের দিক থেকে ভুলে ভরা। একটি বর্ণ সত্যি কথা নাই সেখানে।”

মানুষকে ‘বিভ্রান্ত’ করার জন্য এবং তাকে ‘হেয় প্রতিপন্ন’ করার জন্য এই ‘সাজানো’ মামলা’ করানো হয়েছে বলেও পাল্টা অভিযোগ করেছেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক।

তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলে আসছেন, তাকে ‘হেয় প্রতিপন্ন’ করার জন্য এই ‘সাজানো’ মামলা’ করানো হয়েছে

জামিন নিয়ে আইনি লড়াই

এ মামলায় হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা থেকেই তৌফিক ইমরোজ খালিদী হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। তা মঞ্জুর করে গত ২৬ অগাস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ তাকে আট সপ্তাহের জামিন দেয়।

সেই জামিন আটকাতে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছিল দুদক। তাদের লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের আপিল বেঞ্চ গত ২১ সেপ্টেম্বর দুদকের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেছিল- কেন তিনি এসব আবেদন নিয়ে এসে আপিল বিভাগের ‘সময় নষ্ট’ করছেন।

হাই কোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষে নিয়ম অনুযায়ী ২০ অক্টোবর জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক।

ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েশ সেদিন ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন এবং শুনানিতে দুদকের আইনজীবীকে বলেন, “হাই কোর্ট জামিন দিয়েছে। এরপর আপনারা দৌড়ে আপিল বিভাগে চলে গেলেন। আপিল বিভাগে যাওয়ার কী আছে?”

২৫ নভেম্বর তৌফিক ইমরোজ খালিদীর আইনজীবীরা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েশের আদালতে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এর বিরোধিতা করেন।

জজ কোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ইতোমধ্যে হাই কোর্টে গেছে বলে তিনি জানালে বিচারক জানতে চান, হাই কোর্ট জামিন স্থগিত করেছে কি না, কোনো কাগজপত্র আছে কি-না।

দুদকের আইনজীবী সেদিন কোনো স্থগিতাদেশ না পাওয়ার কথা জানালে বিচারক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদকের স্থায়ী জমিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

কী অভিযোগ দুদকের?

গত ১৩ অক্টোবর এক প্রতিবেদনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, তাদের কোম্পানিতে ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ। ওই বিনিয়োগের একটি বড় অংশ তারা ব্যয় করবে ডিজিটাল সংবাদ সেবার সম্প্রসারণ ও উদ্ভাবনে।

কিন্তু পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তাৎক্ষণিকভাবে ওই ‘বিনিয়োগ ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে বিরত’ থাকার নির্দেশ দেয়।

তার দুই সপ্তাহের মাথায় দুর্নীতি দমন কমিশন ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অবস্থান গোপনের’ অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে তৌফিক ইমরোজ খালিদী ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিরুদ্ধে ‘অনুসন্ধান’ শুরু করে।

দুদকের চিঠি পেয়ে গত ২৬ নভেম্বর কমিশনের কার্যালয়ে গিয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়ে আসেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী। এরপর তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ‘অবরুদ্ধ’ করা হয়, মামলা করা হয় গত ৩০ জুলাই।

সেই এজাহারে বলা হয়, তৌফিক ইমরোজ খালিদী তার নামে থাকা কোম্পানির ২০ হাজার শেয়ার ২৫ কোটি টাকায় এবং কোম্পানির আরও ২০ হাজার নতুন শেয়ার ইস্যু করে ২৫ কোটি টাকায় এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই ৪০ হাজার শেয়ারের ‘প্রকৃত মূল্য ৪০ লাখ টাকা’। কিন্তু ১২ হাজার ৪০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকায়।

“তৌফিক ইমরোজ খালিদীর ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি ব্র্যাক-ইপিএলকে দিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অ্যাসেট ভ্যালুয়েশন করিয়েছেন। ব্র্যাক-ইপিএলের প্রতিবেদন অনুসারে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ভ্যালুয়েশন ধরা হয়েছে ৩৭১ কোটি টাকা।”

কিন্তু ওই প্রতিবেদন ‘ভুয়া’ ছিল অভিযোগ করে এজাহারে বলা হয়েছে, ওই ৫০ কোটি টাকার মধ্যে ৪২ কোটি টাকা এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে জমা করা হয়েছে।

“তৌফিক ইমরোজ খালিদী উক্ত অস্থাবর সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন, যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।”

বরাবর দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসা তৌফিক ইমরোজ খালিদী দুদকের অনুসন্ধানের শুরুতেই সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন ‘খুবই শক্তিশালী একটি মহলকে নাখোশ’ করেছে।

তৌফিক ইমরোজ খালিদী কী বলছেন?

গত ২৬ অগাস্ট হাই কোর্টে জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ মামলার বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

সেদিন তিনি বলেন, এ মামলায় দুটো অভিযোগ আছে। একটি হল ‘অসাধু উপায়ে’ টাকা অর্জন, অন্যটি হল ব্র্যাক-ইপিএল নাকি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘কোনো ভ্যালুয়েশনই করেনি’।

আসলে কী ঘটেছিল, সেই বিবরণে তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ভ্যালুয়েশন রিপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার জন্য ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল ব্র্যাক-ইপিএলের সঙ্গে একটি এনডিএ (নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষরিত হয়। এরপর ব্র্যাক-ইপিএলের এমডি ও সিইওর সাথে বহু বৈঠক এবং চিঠি চালাচালি চলে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র নিয়ে প্রথম যে ইনফরমেশন মেমোরেন্ডামটি (আইএম) ব্র্যাক-ইপিএল তৈরি করে পাঠায়, যেখানে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের ভ্যালুয়েশন হয় ৩৭ হাজার ১০০ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির ভ্যালুয়েশন হয় ৩৭১ কোটি টাকা।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্র্যাক-ইপিএল একটি হালনাগাদ রিপোর্ট দেয়, তা নিয়ে সে সময় দুটো বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা চলে বলেও জানান তৌফিক ইমরোজ খালিদী।

তিনি বলেন, “প্রায় ঠিকঠাকই হয়ে গিয়েছিল, বিভিন্ন কারণে হয়নি। একটি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত পরে প্রত্যাহার করে নেয়। আমাদের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে চেয়েছিল, কিন্তু বাংলাদেশে তারা বিনিয়োগ করতে চায়নি (ওই কোম্পানি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে বিনিয়োগে আগ্রহী হলেও তাদের বোর্ড পরে দেশ হিসেবে বাংলাদেশে অর্থ লগ্নি না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়)।

“একটি কোম্পানির কথা আমি বলতে পারি..., সেইখানে আলোচনার সময় ব্র্যাক-ইপিএল রাজিও হয়েছে তাদের সাথে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে। নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক যে প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের কথা হয়েছিল, তাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য তারা রাজি হয়েছে।”

তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, “সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (ব্র্যাক-ইপিএল) যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেখানে কিন্তু তারা স্বীকার করেছে তারা ভ্যালুয়েশন করেছে। কিন্তু দুদকের কাছে তারা বেমালুম অস্বীকার করেছে। কার চাপে করেছে?

“আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কারা এত ক্ষমতাশালী হয়ে উঠল যে রাষ্ট্রের চেয়ে ক্ষমতাশালী হয়ে গেছে। তারা এরকম চাপ দিতে পারে যে একজন লোককে মিথ্যা স্টেটমেন্ট দিতে হয়!”

‘অসাধু উপায়ে’ টাকা অর্জনের যে অভিযোগ মামলায় করা হয়েছে, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “(এজাহারে) বলা হয়েছে, ৪২ কোটি টাকা আমার অ্যাকাউন্টে পাওয়া গেছে। ৪২ কোটি টাকা (আমার অ্যাকাউন্টে) পাওয়া যেতে পারে না।”

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ২০ হাজার শেয়ার এবং তার নামে থাকা কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ২০ হাজার শেয়ার এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করা হয় মোট ৫০ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ২৫ কোটি টাকা তার অ্যাকাউন্টে এবং ২৫ কোটি টাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

“কোম্পানির ২৫ কোটি টাকা থেকে বেতন দেওয়া হয়েছে… ১৮ কোটি টাকা বাকি ছিল, সেই ১৮ কোটি টাকা এফডিআর করা হয়েছে। আর আমার কিছু ধার-টার ছিল, সবগুলো পরিশোধ করে ২৪ কোটি টাকা আমি রেখে দিয়েছি এফডিআর করে।”

তিনি প্রশ্ন করেন- “বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে আমাদের ব্যাংকে টাকা এসেছে। কোথায় লুকানো হল? আমরাই প্রথম (বিনিয়োগ পাওয়ার) খবর দিয়েছি, কোথায় লুকানো হল?

“এটা ওরা সবাই জানে… কোনো কিছু লুকানো হয়নি। আমরা কোনো কিছু লুকাই না। আমার সম্পর্কে যা কিছু বাজে খবর হয়েছে, প্রত্যেকটা সবার আগে কারা ছেপেছে? বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ছেপেছে।”

দুদকের মামলায় তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি সেদিন বলেন, “আসলে এটা সাজানো হয়েছে। কারা করেছে- এরা তাও জানে। কী জন্যে করেছে তাও জানে। আমরা পাঁচটি স্টোরি করেছিলাম কোনো এক তরুণ ব্যবসায়ীকে নিয়ে। তিনি ক্ষেপে গেছেন। তিনি অসম্ভব ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন।

“যারা তুখোড় রাজনীতিক, বহুদিন ধরে রাজনীতি করেন এবং অন্যান্য যারা আছেন, তাদের সবার চেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী (সেই তরুণ ব্যবসায়ী)!

“আরেকজন ব্যবসায়ী আছেন- তিনি তো সবার চেয়ে ক্ষমতাশালী। যে করেই হোক এটা নিয়ে নিতে চান। যে কোনো মূল্যে এটা নিতে চান। আমরা বলেছি না, এটার মালিকানা কাগজে-কলমে যারই থাকুক না কেন, এখানে যারা কাজ করে তাদের। আপনি যদি কথা বলেন, তারা সাক্ষ্য দেবে।”

গত ২৬ অগাস্ট আগামী জামিন পাওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী