চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কেটে গড়ে তোলা সব অবৈধ স্থাপনা এক মাসের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
একই সঙ্গে চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা এবং পাহাড়ে যাবতীয় স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে আদালত।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রোববার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।
আদেশে পাহাড় কেটে তৈরি করা সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বন ও পরিবেশ সচিব, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার, জেলা পুলিশ সুপার, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।
পাশাপাশি আর যাতে কেউ পাহাড় না কাটতে পারে সেজন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করতে বলছে আদালত।
আর চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী, আকবর শাহ, খুলশীসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।
একই সঙ্গে পাহাড় কাটা এবং পাহাড়ে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি যারা পাহাড় কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, রুলে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
দৈনিক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত প্রকাশিত এক প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এ রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
এর আগে গত ১ অগাস্ট পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এইচআরপিবি এ বিষয়ে রিট আবেদন করে।
রিটে গত ২৬ জুলাই প্রকাশিত ‘চট্টগ্রামে পাহাড়ে লোভের কোপ: পাহাড় কেটে প্লট, উঠছে দালান' সংবাদটি যুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: