নতুন নীতিমালা ও আগের পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর বিষয়ে খসড়া কমিশনে উপস্থাপনের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে, বলেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
Published : 20 Mar 2025, 11:52 PM
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর নিবন্ধন বিষয়ে বিদ্যমান নীতিমালা পর্যালোচনা শুরু করেছেন নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া সর্বশেষ নিবন্ধিত ৯৬টি সংস্থার নিবন্ধন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত কমিটি বৈঠক করেছে।
আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে নিবন্ধিত সংস্থাগুলোর নিবন্ধন বাতিলের পাশাপাশি নতুন নীতিমালার খসড়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম।
এ বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে তুলে ধরেন তিনি।
নতুন নীতিমালা ও আগের পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর বিষয়ে খসড়া কমিশনে উপস্থাপনের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলেছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা একটি খসড়া দাঁড় করিয়েছি। খসড়াটি কমিশনের মিটিংয়ে তোলা হবে। আলোচনা পর্যালোচনা করে নেওয়া হবে, কিছু কিছু সংস্থা তো বাতিল হবে। খসড়ার সিদ্ধান্ত তো এই মুহূর্তে বলা যাবে না। চূড়ান্ত না হলে বলা কঠিন।”
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৯৬টি সংস্থা পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন পেয়েছিল।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নীতিমালার আলোকে সংস্থাগুলোকে আবার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হতে পারে বলে তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা।
বিদ্যমান পর্যবেক্ষক নীতিমালা বহাল রেখেই দেশিয় পর্যবেক্ষক সংস্থার তালিকা বাতিল করা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “বিদ্যমান বিধিমালা ও সংস্কার কমিশনের যেসব প্রস্তাব রয়েছে, সেগুলো বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেই সামনের দিকে এগোচ্ছি। যদি কমিশন মনে করে সবগুলো বাতিল হবে তাহলে বাতিল হবে।”
এদিনের বৈঠকে দল নিবন্ধন, সীমানা নির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনাসহ পাঁচটি বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ সভা মূলতবি করা হয়েছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আবার বসবো। একটা স্বচ্ছ, সুন্দর নির্বাচনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন সেগুলো করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ভোট কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা আজ, ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনায় খুঁটিনাটি অনেক বিষয়ে রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ করেছি। এগুলো নিয়ে আরও পর্যালোচনার বিষয় আছে। এ সংক্রান্ত নীতিমালা নিয়েও আলাপ হয়েছে।”
নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি নিয়ে আদালতের রুলের বিষয়ে জানতে চাইলে এ নির্বাচন কমিশনার
বলেন, “আদালতের আদেশ না দেখে কিছু বলা ঠিক হবে। আমাদের কাছে এখনো কপি আসেনি। আগামী সপ্তাহে হয়তো আমরা কপিটা পাব।”
পুরনো খবর:
লক্ষ্য ডিসেম্বর, ইসি কী প্রস্তুতি নিচ্ছে
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: স্থানীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান নামল অর্ধেকে
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ: আগ্রহী বহু সংস্থার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন