“অনেকেই দায়সারাভাবে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিয়ে থাকে”, বলছেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক
Published : 29 Aug 2023, 01:01 AM
শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র (এসপিবিকে) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা এক দশকের বেশি সময় ধরে নানা সেবামূলক কাজে জড়িত; এবার তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যেতে চায়।
পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিতে নির্বাচন কমিশন যে প্রাথমিক তালিকা করেছে, তাতে এসপিবিকেসহ ঢাকা ও রাজধানীর বাইরের ৬৮টি সংস্থার নাম রয়েছে।
পর্যবেক্ষণ নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ কাজ করে আসছে এবং নিবন্ধিত গঠনতন্ত্রে ‘সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণের অঙ্গীকার’ রয়েছে সে সব সংস্থার, তারা পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করার আবেদন করতে পারবে।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বা আছেন বা প্রার্থী হবেন এমন ব্যক্তি সংস্থার প্রধান নির্বাহী, পরিচালনা পর্ষদ বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হয়ে থাকলে ওই সংস্থা নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য হবে না।
· নতুন ও পুরনো মিলে এবার প্রাথমিকভাবে ৬৮টি সংস্থা বাছাই হয়েছে।
· ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত এসব সংস্থার বিষয়ে দাবি-আপত্তি জানানোর সময় রয়েছে।
পর্যবেক্ষণে আগ্রহ-অনাগ্রহ
ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মিজানুর রহমান শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র-এসপিবিকের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন; তবে নিবন্ধনের আবেদন করেছেন প্রধান নির্বাহী আব্দুল্লাহ আল নোমান।
পর্যবেক্ষক হওয়ার আগ্রহ কেন জানতে চাইলে সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন, “১০ বছর ধরে আমরা কাজ করছি। এখন সহস্রাধিক লোকবল, জেলা পর্যায়ে কর্মী রয়েছে। এতদিন পর আমাদের মনে হয়েছে যে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা সক্ষম হয়েছি।
“আমরা প্রাথমিক তালিকায় আছি। নিবন্ধন পাব কিনা তা এখনও চূড়ান্ত নয়। ইসির অনুমতি পেলে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে কার্যকর প্রতিবেদন দেব।”
‘অতীতের’ রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হবে না বলেই মনে করছেন মিজানুর রহমান।
“আমি ছয় বছর আগে ছাত্রলীগের মহানগর উত্তরের সভাপতি ছিলাম। এখন কোনো পদ-পদবীতে নেই কোনো পর্যায়ে। এটা নিবন্ধন পেতে ও পর্যবেক্ষণে কোনো প্রভাব ফেলবে না। আমরা পেশাদারি মনোভাব নিয়ে পর্যবেক্ষণের কাজটি নিতে চাই। এখন নিবন্ধন দিলে তা করতে সক্ষম হব” বলেন তিনি।
সংস্থার প্রধান নির্বাহী আব্দুল আল নোমান জানান, পর্যবেক্ষণ নীতিমালায় রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ওই শর্তের বিষয়টি না জেনেই আবেদন করেছেন তারা। তবে, তার দাবি, নিবন্ধন পেতে এখন তাদের কোনো বাধা নেই।
তার যুক্তি, চেয়ারম্যান যিনি রয়েছেন তিনি নিবন্ধিত দলের কোনো কমিটিতে এখন নেই। এনজিও ব্যুরোর নিবন্ধিত সংস্থা হওয়ায় ইসিতে নিবন্ধন পেতে সমস্যা হবে না বলেই তার বিশ্বাস।
নোমান বলেন, “পর্যবেক্ষণে কোনো ধরনের আর্থিক সহায়তা আমরা কোথাও থেকে পাব না। নিজেদের অর্থ দিয়ে দক্ষ লোকবল তৈরি করেই নির্ধারিত পদ্ধতিতে পর্যবেক্ষণ করতে হবে আমাদের। অতীতে আমার অভিজ্ঞতাও রয়েছে।
“এখন দেশের সেরা দশটি এনজিওর মধ্যে আমাদের সংস্থাটিও থাকবে। আমরা সক্ষম হয়েছি বলেই ভোটের পর্যবেক্ষণে যেতে চাই। আমরা সঠিকভাবে তা তুলে ধরতে পারবে বলে মনে করি। আগ্রহের মূল কারণ এটিই।”
পেশাদারি দক্ষতার অভাব ও তহবিলের অপ্রতুলতার কারণে অনেক পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধিত হয়েও মাঠে থাকে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: স্থানীয় পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান নামল অর্ধেকে
নতুন এ সংস্থাটির আগ্রহ থাকলেও নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পুরনো সংস্থাগুলোর একটি ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং এলায়েন্স (ফেমা) নানা জটিলতায় এবারও পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নেই।
নতুন সংস্থাগুলোকে একেবারেই ‘নাম সর্বস্ব’ বলতে নারাজ ফেমার দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট মুনিরা খান।
তিনি বলেন, “পুরনো পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর মধ্যে আমরা তো পায়োনিয়ার। ফেমাকেও এক সময় কেউ চিনত না; ২০০৩ সাল থেকে কাজ শুরুর পর ধীরে ধীরে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। এখন নতুন সংস্থাগুলোর ম্যানুয়ালে কী আছে, তাদের কেমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, তার ওপর নির্ভর করছে সব কিছু… শেষ পর্যন্ত ইসি কাদের নিবন্ধন দেয় তা দেখার বিষয়।”
সবশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে স্বল্প পরিসরে ভোট পর্যবেক্ষণ করলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে তালিকায় ছিল না ফেমা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আবেদন করেনি সংস্থাটি।
মুনিরা খান বলেন, “প্রশিক্ষণের জন্য তহবিল দরকার। প্রশিক্ষিত পর্যবেক্ষক ছাড়া যাকে তাকে ধরে দেশীয় পর্যবেক্ষণ করানো হলে তা হয় না।
“যারা নতুন তারা যোগ্য না- এ কথা আমি বলব না। ধীরে ধীরে প্রশিক্ষণ নিয়ে অভিজ্ঞ হবে, নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। কিন্তু নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের নিয়ে সঠিক রিপোর্ট দেওয়ার কাজটি সবার জন্যে বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। বর্তমানে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকলে কোনোভাবেই করা যাবে না, এতে প্রতিবেদনও নিরপেক্ষ হবে না।”
ডেমোক্রেসি ওয়াচ –এর পরিচালক (ফাইন্যান্স) আশরাফুজ্জামান সরকার জানান, টাকার অভাবে তারাও এবার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ থেকে দূরে সরে আছেন।
সংস্থার চেয়ারম্যান তালেয়া রহমান দেশের বাইরে থাকায় পাঁচ থেকে সাত বছরে তাদের ভোট পর্যবেক্ষণের কাজ নেই। দশম সংসদ নির্বাচনে সীমিত পরিসরে কাজ করলেও নিবন্ধিত হয়েও একাদশ সংসদ নির্বাচনে মাঠে ছিল না তারা।
“এক সময় আমাদের মূল ফোকাস ছিল ইলেকশন মনিটরিং। এখন আর নেই। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইস্যুতে সম্পৃক্ত থাকছি আমরা। আগামীতে নিবন্ধন পেলেও পর্যবেক্ষণে থাকব কিনা আমরা সময়ই বলবে” বলেন ডেমোক্রেসি ওয়াচের পরিচালক।
অতীতে এশিয়া ফাউন্ডেশন, ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের মত মোর্চার সঙ্গে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে ওয়েব ফাউন্ডেশনের পরিচালক (প্রশাসন) ইফতেখার হোসেন জানান, তহবিল না থাকলে পর্যবেক্ষণের মত কাজে সম্পৃক্ত থাকা হয় না কেউ।
বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা সেপ্টেম্বরের শুরুতে চূড়ান্ত করতে চায় ইসি
পর্যবেক্ষকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিল ইসি
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান নিয়েও প্রস্তুতিতে ইসি
তিনি বলেন, “আমরা একসময় গ্রুপে ছিলাম, তাই নিবন্ধিতও ছিলাম কমিশনে। ইডব্লিউজি তো নেই, আমরাও পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। এবার আমাদের একক কোনো আবেদন করা হয়নি।”
বেসরকারি সংস্থা এলআরবি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা রাজিয়া জানান, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে তারা কাজ করে আসছেন ২০০১ সাল থেকে।
খান ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে এক বছর কাজ করার সময় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় এলআরবি ফাউন্ডেশন ২০১৭ সালে ‘শখের’ বসে পর্যবেক্ষণে নাম লেখায়।
“একাদশ সংসদ নির্বাচনে এলআরবির ৫৭৬ জন সদস্য পর্যবেক্ষণে ছিল। এবার নিবন্ধন পেলে একই ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাব,” বলেন তিনি।
৩৫ বছরের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ-জানিপপ চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর ভাষায়, এখানে ভোট পর্যবেক্ষণ একটি ‘মৌসুমি ব্যবসা’।
“নানা ধরনের সংস্থা হঠাৎ করে পর্যবেক্ষক হিসেবে আসে। আবার অনেকে সংস্থা লোগো ব্যবহার করে বিদেশি কয়েকজন পর্যবেক্ষক নিয়ে আসে, যারা এ কাজে সম্পৃক্তও নয়। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়।”
কোনো কোনো নিবন্ধিত সংস্থার পর্যবেক্ষণে অনাগ্রহের বিষয়ে জানিপপ চেয়ারম্যান বলেন, “২০০৮ সালে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন নিলে দেশি-বিদেশি আর্থিক সুবিধা মিলতে পারে এমন মনে করেছে অনেকে। বাস্তবে দেখা গেল এ ধরনের সুযোগ নেই। পর্যবেক্ষণটা খুব পেশাদারত্বের সঙ্গে নিজেদের অর্থ দিয়েই করতে হয়। আবেদন করার পর যেসব সংস্থার গঠনতন্ত্রে পর্যবেক্ষণ বিষয়টি নেই, তাদের নিবন্ধন দেওয়ার কোনো মানে হয় না।”
যারা শুধু পর্যবেক্ষণ করে, তাদেরই পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন পাওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
নির্বাচন বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষক আব্দুল আলীম বলেন, “নির্বাচন পর্যবেক্ষণ একটি টেকনিক্যাল কাজ। আইন-বিধি জানার পাশাপাশি অভিজ্ঞতাও দরকার। প্রশিক্ষিত লোকবল দিয়ে পেশাদারত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণটা করা উচিত। বাংলাদেশে ভোট পর্যবেক্ষণ এখনও প্রাতিষ্ঠানিকভিত্তির উপর দাঁড়াতে পারেনি।”
তিনি বলেন, “যত ব্যাপক ও বেশি পর্যবেক্ষক থাকবে, ততই আস্থা বাড়বে। পর্যবেক্ষক কম থাকা মানেই এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কথা উঠতে পারে। ভোটের আগে-পরে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী কিছু স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্ত নিতে হবে ইসিকে। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক সংস্থাই আছে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দেয় না, দিলেও অনেক পরে।”
পর্যবেক্ষক ও কাজ
>> নবম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মত পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন চালু হয়। এক বছর করে মেয়াদ নির্ধারণ করা হলেও পরে তা পাঁচ বছর করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
>> ২০০৮ সালে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেয় এটিএম শামসুল হুদা কমিশন। তখন নিবন্ধনের মেয়াদ ছিল এক বছর।
>> নবম সংসদ নির্বাচনে দেশি ৭৫টি প্রতিষ্ঠান ভোট পর্যবেক্ষণে ছিল।
>> ২০১১ সালে নিবন্ধন দেওয়া হয় ১২০টিকে। এগুলোর নিবন্ধনের মেয়াদ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে শেষ হওয়ার পর কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ কমিশন তা আরও এক বছর বাড়ায়।
>> দশম সংসদে ভোট পর্যবেক্ষণে ছিল ৩৫টি প্রতিষ্ঠান।
>> ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আবেদন করে ১৯৯টি, কে এম নুরুল হুদা কমিশন নিবন্ধন দেয় ১১৯টিকে। মেয়াদ শেষ হয় পাঁচ বছর পর চলতি জুলাই মাসে।
>> তবে ওই সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে ৮১টি দেশি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।
>> দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ২১০টি আবেদনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছে ৬৮টি।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে তৎকালীন ইসি সচিব পর্যবেক্ষকদের ব্রিফিংয়ে কাজের পরিধি তুলে ধরে বলেছিলেন, ভোট কেন্দ্রে পর্যবেক্ষকরা শুধু দেখবেন। তারা রিপোর্ট দেওয়ার আগে কোনো মন্তব্য করবেন না। প্রয়োজনে সব শেষে সংবাদ সম্মেলন করতে পারবেন এবং কমিশনে প্রতিবেদন দিতে পারবেন।
পর্যবেক্ষকরা কোনো লাইভ প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না, গণমাধ্যমকে কোনো সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না। এমন কিছু করতে পারবেন না যেন মনে হয় তিনি কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।
পর্যবেক্ষকরা ভোট কেন্দ্রে ছবি তুলতে, কোনো গোপন কক্ষে যেতে, কাউকে নির্দেশনা দিতে এবং প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারদের কোনো পরামর্শ দিতে পারবেন না। যদি কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হয়, সেটা তারা কমিশনকে বা সংস্থার নির্বাহী ব্যক্তিকে অবহিত করতে পারেন।
কী বলছে ইসি, আপত্তি কীভাবে মিটবে
অন্তত দুই দশক নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর বিষয়ে দেখভাল করার অভিজ্ঞতা রয়েছে ইসির জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামানের। বর্তমানে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক তিনি।
তিনি মনে করেন, শখানেক পর্যবেক্ষক সংস্থা আগ্রহী হলেও ‘সম্ভাবনাময়’ সংস্থা কেবল কয়েকটি।
পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন চালুর পর ‘নামডাক ছড়ানোর’ সুবিধার পাশাপাশি আর্থিক সুবিধার কারণে ভিড় বেড়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ইটিআই মহাপরিচালক বলেন, “এসব পর্যবেক্ষক সংস্থা এনজিও ব্যুরারও কাছেও নিবন্ধিত। ইসি সচিবালয়ের আবেদন করার পর যথাযথ তদন্ত করেই অতীতে পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেয়েছে।
“কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- অনেকেই দায়সারাভাবে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিয়ে থাকে। গুটি কয়েক সংস্থা রয়েছে যাদের স্থানীয় সংস্থা হিসেবে বেশ ভালো পর্যবেক্ষণ সক্ষমতা রয়েছে এবং তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে কমিশনও উদ্যোগ নিয়েছে।”
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে দলীয় সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন ডজন দুয়েক সংস্থার বিষয়ে অভিযোগ এলেও প্রকৃতপক্ষে যাচাই-বাছাই করে মাঠ পর্যায়ে এমন অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “দুই শতাধিক আবেদন থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ে ৬৮টি পর্যবেক্ষক সংস্থার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কয়েকটি আপত্তি আবেদন পড়েছে। ৩১ অগাস্টের মধ্যে যেসব আবেদন আসবে তা পর্যালোচনা করে কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।”