ফিরবে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ। মূল্যায়ন পদ্ধতি হবে অনেকটাই জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মত।
Published : 01 Sep 2024, 10:43 PM
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থাও আমূল পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিকে ফিরবে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ। মূল্যায়ন পদ্ধতি অনেকটাই জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মত হবে।
রোববার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ কথা জানানো হয়।
নানা সমস্যার কারণে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ বাস্তবায়নযোগ্য নয় দাবি করে এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের বাধা হিসেবে শিক্ষকদের প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাবকে দায়ী করা হয়।
পাঠ্যক্রম সংশোধন ও পরিমার্জন করে ২০২৪ সাল থেকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ও আগামী বছর থেকে পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আসবে বলেও জানানো হয় পরিপত্রে।
মাধ্যমিকে ছয়টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম অসম্পন্ন রয়েছে সেগুলো আর হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
২০২৬ সালের এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রাখার কথাও বলা হয়েছে এতে।
পরিপত্রে বলা হয় প্রাথমিক স্তরে প্রাক-প্রাথমিক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে ধারাবাহিকতা রেখে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে মুদ্রণ করা হবে। পাঠদান পদ্ধতি ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়াতেও পরিবর্তন আনা হবে।
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যবই ২০২৪ সালে বহাল থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবই সরবরাহ করা হবে।
২০২৪ সালের বাকি সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন সংশোধিত ও পরিমার্জিত পদ্ধতিতে করা হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জনকৃত মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে ডিসেম্বর নাগাদ বার্ষিক পরীক্ষা হবে।
২০২৫ সালে দশম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার লক্ষ্যে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত রাখা হবে। তাদেরকে ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমের আলোকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবই সরবরাহ করা হবে।
সেই শিক্ষাক্রম অনুসারে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষাভিত্তিক এই পাঠ্যবইগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি করা হবে।
যেসব শিক্ষার্থী ২০২৫ সালে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবই (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যবহৃত) দেওয়া হবে।
এ সব শিক্ষার্থী নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি শেষে ২০২৭ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে।
শিক্ষাবিদ, শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ, মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষা প্রশাসক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও অভিভাবক প্রতিনিধিদের সহযোগিতায় ২০২৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম চূড়ান্ত করা হবে, যা ২০২৬ সাল থেকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।