মন্ত্রী-এমপিদের আচরণবিধি মানার অনুরোধ ইসির

“তাদের আত্মীয়স্বজন প্রার্থী থাকতে পারে, কিন্তু কোনো অবৈধ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না,” বলেন ইসি আলমগীর।

আগামী ৮ মে থেকে চার ধাপে যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তাতে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তার না করতে সংসদ সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মন্ত্রী-এমপিদের আচরণবিধি মানাতে সংসদ সচিবালয়কে ইতোমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলের এমপি-মন্ত্রী যেই হোক না কেন, অবৈধ প্রেশার দিলে তা আমলে না নেওয়ার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত প্রার্থী আমাদের কাছে সমান।”

ইসি আলমগীর বলেন, “মন্ত্রী-এমপিদের কোনো প্রার্থী থাকলে তা আইনে নিষেধাজ্ঞা নেই। কোনো প্রার্থী যেই হোক না কেন, সকল প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ করতে হবে; আর কোনো প্রার্থী যদি আচরণবিধি না মানে বা অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

“কমিশন ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইসি সচিব সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে একটি পত্র দেবেন। স্পিকারের দৃষ্টিতে আনবেন, আমরা কী ধরনের নির্বাচন চাই, সেটা ওখানে থাকবে। চিঠিও চলে গেছে। বার্তাটা হলো, মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজন প্রার্থী থাকতে পারে, কিন্তু কোনো অবৈধ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।”

মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, “নির্বাচনের পরিবেশ ভালো, উৎসবমুখর। আইনশৃঙ্খলায় কোনো থ্রেট নেই, সমস্যা নেই। গোয়েন্দা রিপোর্টেও কোনো থ্রেট নাই- বলেছে।”

প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় নির্বাচন হবে ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোট হবে।

নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, “যেহেতু কয়েক ধাপে ভোট হচ্ছে, তাই ফোর্স বেশি দেওয়া সম্ভব হবে। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হবে।

“এছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ক্ষমতা দেওয়াই থাকে, প্রয়োজন হলে তিনি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করতে পারবেন।”

প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের কোনো অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, “কোনো প্রার্থী নির্বাচনে থাকবে, কি থাকবে না- তা সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের বিষয়। নির্বাচন কমিশন যেটা দেখবে- সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কি না।

“অনেক প্রার্থী, এমনকি সংসদ নির্বাচনে অনেক দল অংশ না নিলেও স্থানীয়ভাবে অনেক দলের প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। বিধি না মানলে দেখতে হবে কোন বিধি ভঙ্গ করলেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”