পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়; ওই মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
Published : 10 Nov 2022, 01:12 PM
ডিজিটাল নিরাপত্তা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পিবিআই প্রধানের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমাম ওই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিন সকালেই বাবুলকে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে আসা হয়। তাকে রিমান্ডে নেওয়ারও আবেদন করেছে পুলিশ, সে বিষয়ে দুপুরে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকউশন বিভাগের উপকমিশনার জসিমউদদীন জানান, বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে নিতে বুধবার ওই আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম।
আবেদনে বলা হয়, “বাবুল আক্তার কারাগারে থাকাকালে কীভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য-উপাত্ত বিদেশে থাকা আসামি ইলিয়াসের কাছে সরবরাহ করেছেন এবং কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এছাড়া কারাগারে থাকাকালে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বাদীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মানহানিকর ভয়েস রেকর্ড প্রস্তুত করেছেন কিনা, ইলিয়াসের প্রকাশিত ভিডিওর কণ্ঠ বাবুল আকতারের কিনা বা ভয়েস রেকর্ডের অপর প্রান্তে কে ছিলেন, তা জানা প্রয়োজন।”
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। চট্টগ্রামের মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডের আসামি, তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ চারজনকে সেখানে আসামি করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি প্রবাসী ইউটিউবার ইলিয়াছ হোসাইন, যিনি এক সময় দেশে সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন। অপর দুই আসামি হলেন- বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ, ভাই হাবিবুর রহমান লাবু।
মিতু হত্যা মামলায় ‘স্বীকারোক্তি আদায়ে’ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এর আগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমারসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার।
সেই আবেদন আদালত খারিজ করে দেওয়ার দুই দিনের মাথায় বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার।
ছয় বছর আগে মিতু হত্যার ঘটনায় তার স্বামী বাবুল আক্তার যে মামলা করেছিলেন, সেই মামলায় তার বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। ২০২১ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।
পিবিআই প্রধানের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কারাগারে আটক থাকা সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ‘ভিন্নখাতে প্রবাহিত করাসহ’ বাংলাদেশ পুলিশ ও পিবিআইয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত আসামিদের নিয়ে ‘অপরাধমূলক বিভিন্ন অপকৌশল এবং ষড়যন্ত্রের’ আশ্রয় গ্রহণ করছেন।
আরও খবর
এবার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে পিবিআই’র আরেক কর্মকর্তার মামলা
এবার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে পিবিআই প্রধানের মামলা
পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ‘হেফাজতে নির্যাতনের’ অভিযোগ বাবুল আক্তারের