এবার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে পিবিআই’র আরেক কর্মকর্তার মামলা

এর আগে বাবুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেছিলেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2022, 06:21 PM
Updated : 19 Oct 2022, 06:21 PM

স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার আসামি বাবুল আক্তার, তার বাবা ও ভাইসহ চারজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অসত্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা।

বুধবার বিষয়টি জানা গেলেও মামলাটি নগরীর খুলশী থানায় করা হয় গত সোমবার।

খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামলায় বাবুল আক্তারসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার, তার বাবা আব্দুল ওয়াদুদ, ভাই হাবিবুর রহমান লাবু এবং প্রবাসী ইউটিউবার ইলিয়াছ হোসাইন, যিনি এক সময় দেশে সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই চার আসামির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

বুধবার মামলার বিষয়ে জানতে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানাকে মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় ‘স্বীকারোক্তি আদায়ে’ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এর আগে পিবিআই প্রধানসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।

আদালতে করা ওই আবেদনে বাবুল আক্তার বিবাদী করেছিলেন পিবিআই বর্তমান প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআইর চট্টগ্রাম জেলার এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগরের এসপি নাঈমা সুলতানা, তৎকালীন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, সাবেক পরিদর্শক এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরকে।

শুনানি শেষে ওই আবেদন ২৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে খারিজ হয়ে যায়।

এরআগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, “বাবুল আক্তার, তার ভাই ও বাবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াছ হোসাইন বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় গত ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেইসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে ‘স্ত্রী খুন, স্বামী জেলে: খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে ৪২মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন।

“ওই ভিডিওতে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে তদন্তাধীন মিতু হত্যা মামলার তদন্তকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে প্রচার করা হয়।”

এর আগে মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে পিবিআই ১৩ সেপ্টেম্বর যে অভিযোগপত্র দেয় শুনানি শেষে গত ১০ অক্টোবর তা গ্রহণ করেছেন আদালত।

Also Read: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ

Also Read: এবার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে পিবিআই প্রধানের মামলা

Also Read: মামলা আর নিরাপত্তা: বাবুল আক্তারের দুই আবেদনই খারিজ

Also Read: মিতু হত্যা: বাবুল আক্তারের মামলায় তার বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র

Also Read: পিবিআই প্রধানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ‘হেফাজতে নির্যাতনের’ অভিযোগ বাবুল আক্তারের