অধ্যাদেশে সংসদ অধিবেশনের কার্যক্রম পরিচালনা ছাড়া স্পিকারের সব দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে উপদেষ্টাকে।
Published : 18 Nov 2024, 11:54 PM
সংসদ সচিবালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে স্পিকারের প্রশাসনিক, আর্থিক ও অন্যান্য দায়িত্ব ও ক্ষমতা পেলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টাকে এ দায়িত্ব দিয়ে জারি এ অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, সংসদ অধিবেশনের কার্যক্রম পরিচালনা ছাড়া স্পিকারের সব দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা থাকবে উপদেষ্টার।
বর্তমানে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন আসিফ নজরুল।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে এ অধ্যাদেশ বহাল থাকবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের ৩১ অক্টোবরের বৈঠকে আইন উপদেষ্টাকে এ দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হল।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরদিন ৬ অগাস্ট সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এর প্রায় এক মাস পর ২ সেপ্টেম্বর দ্বাদশ সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বলে বঙ্গভবনের তরফ থেকে জানানো হয়।
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের আত্মগোপনে থাকার মধ্যে গ্রেপ্তারের খবর আসছে। তবে সেই থেকে শিরীন শারমিন চৌধুরী আর প্রকাশ্যে আসেননি। ৮ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানেও তিনি যাননি।
এমন প্রেক্ষাপটে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধানকল্পে' এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে বলে গেজেটে বলা হয়েছে। এতে সংসদ সচিবালয় কমিশনের দায়িত্ব ও ক্ষমতা উপদেষ্টাকে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সংসদ সচিবালয় কমিশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এ সচিবালয়ের প্রধান হবে সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা। তাকে সহায়তার জন্য আরও চারজন সদস্য থাকবেন।
তারা হলেন- প্রধান উপদেষ্টার মনোনীত তার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব/সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা বা তার মনোনীত ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা মনোনীত লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব, অর্থ উপদেষ্টা বা তার মনোনীত অর্থ বিভাগের সচিব।
অধ্যাদেশের গেজেটে স্পিকারের দায়িত্ব উপদেষ্টাকে দেওয়ার কারণ তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেওয়ায় স্পিকার পদত্যাগ করায় তার পদটি শূন্য হয়েছে। এতে সংসদ ভবনসহ সংসদের সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ এবং সচিবালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্য সম্পাদনে আইনি শূন্যতা দেখা দিয়াছে। এমন প্রেক্ষাপটে জাতীয় স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
”বাংলাদেশের সংবিধানে ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ অধ্যাদেশ জারি করেছেন। এটি ২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর বলে ধরা হবে।“
স্পিকারের আর্থিক এবং প্রশাসনিক দায়িত্বে আসিফ নজরুল
পদত্যাগ করলেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী