২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর একটানা ওই দায়িত্ব সামলে আসছিলেন তিনি।
Published : 02 Sep 2024, 03:23 PM
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে সরকার পতনের ২৭ দিনের মাথায় পদত্যাগ করলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সোমবার তিনি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে বঙ্গভবনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৫ অগাস্ট গণ আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লে আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। পরদিন সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়া হলেও স্পিকারের পদ তাৎক্ষণিভাবে শূন্য হয় না। পরবর্তী স্পিকারের শপথ পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে থেকে যান। তবে সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা না করে পদত্যাগ করছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাই আত্মগোপনে চলে যান। সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কেউ কেউ গ্রেপ্তার হন। তবে শিরীন শারমিন চৌধুরী আর প্রকাশ্যে আসেননি। ৮ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানেও তিনি যাননি।
বিগত সরকারের হোমরা চোমরা কয়েকজনসহ কয়েকশ মানুষ ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর প্রাণভয়ে সেনাবাহিনীর কাছে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে অনেকে নিজে থেকে চলে যান।
এখনও অন্তত দুজন এবং তাদের পরিবার সেনা হেফাজতে রয়েছে বলে এর আগে নিশ্চিত করেছিল আইএসপিআর। তাদের মধ্যে একজন শিরীন শারমিন চৌধুরী বলে গুঞ্জন রয়েছেন। তবে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
২০০৯ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য হিসাবে জাতীয় সংসদে আসেন শিরীন শারমিন। তাকে দেওয়া হয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।
নবম সংসদের শেষ দিকে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর সেই জায়গায় আসেন তখনকার স্পিকার আবদুল হামিদ। এরপর ২০১৩ সালে ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম নারী স্পিকার নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন। তারপর থেকে তিন মেয়াদে তিনিই টানা স্পিকারের চেয়ারে ছিলেন।