সরকার ১০ জেলার ১৫ লাখ মানুষকে মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
Published : 24 Oct 2023, 09:26 PM
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর গতিপথ ঘুরে যাওয়ায় কয়েক জেলার মানুষকে আর আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১১ জেলার দুই লাখ ৭৩ হাজার ১৫২ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টায় বিডিনিউজ টোয়ন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ ঘুরে যাওয়ার অনেক জেলার মানুষকে আর আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয়নি। অনেক জেলায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও সেখান থেকে চলে গেছেন।
মহাপরিচালক জানান, ভোলায় ১ লাখ ৪ হাজার ৪৬২ জন, চট্টগ্রামে ১ লাখ ১১ হাজার ৮১৮ জন এবং কক্সবাজারে ৪০ হাজার ১৬১ জন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।
আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া মানুষের বরিশালে ৪ হাজার ৪০৩ জন, ফেনীতে ১ হাজার ৫০ জন, ঝালকাঠিতে ৬১৭ জন, লহ্মীপুরে ১ হাজার ৪৪৮ জন, নোয়াখালীতে ৩ হাজার ৫৯৫ জন, পটুয়াখালীতে ২ হাজার ৩৫০ জন, পিরোজপুরে ১ হাজার ৬৮১ জন এবং বরগুনায় ১ হাজার ২০৭ জন।
মহাপরিচালক মিজানুর জানান, মানুষের পাশাপাশি ১১ হাজার ৪৬২টি গরু-মহিষ, ১৬ হাজার ৪৫৮টি ছাগল ও ভেড়াসহ ২৮ হাজার ৩৭৪টি গবাদিপশু আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
৮৩০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছিল জানিয়ে মিজানুর রহমান বলেন, ৮১৬টি মেডিকেল টিম চালু আছে।
উপকূলের দশটি জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করে এসব জেলার ১৫ লাখ মানুষকে মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল সরকার।
দুপুরে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির বাস্তবায়ন বোর্ডের জরুরি শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছিলেন, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে এসব জেলার ১৫ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে।
সে সময় আবহাওয়া অফিস ধারণা দিয়েছিল, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে এ ঝড় উপকূল অতিক্রম করতে পারে। সেজন্য মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল।
কিন্তু শেষ দিকে গতি বেড়ে যাওয়ায় হামুন উপকূলে আঘাত হানে সন্ধ্যা ছয়টায়, গতিপথ কিছুটা বদলে এ ঝড় চট্টগ্রামের দক্ষিণ অংশ ও কক্সবাজারের ওপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম শুরু করে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বার বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর পায়রা ও মোংলা বন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৫ নম্বার বিপদ সংকেত।
ঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্র বৃষ্টি হচ্ছে। হামুনের তাণ্ডবের মধ্যে কক্সবাজারে দেয়াল ও গাছ চাপা পড়ে দুই জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।