সংবর্ধনাস্থলে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
Published : 22 Jun 2024, 12:47 PM
দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার সকাল নয়টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান মোদী।
বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা।
রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের একটি অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রপতি ভবনের গেট থেকে শেখ হাসিনার গাড়ি বহরকে সংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত নিয়ে যায়।
পরে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার দেয়। গার্ড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতও বাজানো হয়।
এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও তার সফরসঙ্গীদের পরিচয় করিয়ে দেন মোদীর সঙ্গে।
এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, রেলওয়ে সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির, ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান, স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহসহ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।
মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে রাজাঘাটে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের মহান নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর (মহাত্মা গান্ধী) সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে যান শেখ হাসিনা।
সেখানে পৌঁছালে রাজাঘাট সমিতির প্রধান শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
এরপর গান্ধীর সামাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। কিছুক্ষণ সেখানে তিনি নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এছাড়া সেখানকার পরিদর্শন বইয়েও স্বাক্ষর করেন তিনি।
শনিবারের ব্যস্ত দিন শেখ হাসিনা
রাজঘাট থেকে হায়দ্রাবাদ হাউসে যান শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। দুই দেশের প্রতিনিধি পর্যায়েও বৈঠক হবে সেখানে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজেরও আয়োজন করা হয়েছে এইদিন।
এছাড়া বিকেলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের সঙ্গে তার সচিবালয়ে শেখ হাসিনা সাক্ষাৎ করবেন। পরে তিনি যাবেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।
দ্বিপাক্ষিক সফরের প্রথম দিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে শুক্রবার বিকাল ৩টা ২৯ মিনিটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছান শেখ হাসিনা।
অর্ভ্যথনা শেষে বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী তার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল তাজ প্যালেসে যান।
প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক নতুন করে এগিয়ে নিতে সবশেষ নির্বাচনে জয়ী দুই সরকারপ্রধানের আগ্রহের মধ্যে এই সফর হচ্ছে। শেখ হাসিনার এই সফরে দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান।
প্রথম দিন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থলে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পথে চ্যালেঞ্জগুলো সংলাপের মাধ্যমে দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
আর জয়শঙ্কর বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে, এই সম্পর্ককে এখন নতুন অধ্যায়ে নেওয়া যেতে পারে।
একই দিনে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক করে তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
দুদিনের সফর শেষে শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার পথে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন...
নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা