ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টে বাংলাদেশের লাভ কী? বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ নয় বরং ভারতই বাংলাদেশের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে যাবে এটি পুরোপুরি চালু হলে। ভারতের এ নির্ভরতাকে বাংলাদেশ দরকষাকষির ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।
Published : 27 Jun 2024, 02:18 AM
সম্প্রতি দশ দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পুনরায় ভারত সফর এবং ট্রানজিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ধরনের নেতিবাচক প্রচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ‘বর্তমান সরকার ভারতের কাছে দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে’, এমন মন্তব্যও করছেন কেউ কেউ। আসলেই কী তাই? এটি বুঝতে হলে আমাদেরকে বিষয়টির আরও গভীরে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটিই সম্ভবত এত কম সময়ের ব্যবধানে একই দেশে দুই দুবারের সফরের ঘটনা। বৈশ্বিক রাজনীতিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বশীল অংশগ্রহণ বাড়ছে এবং এটা অস্বীকার করতে পারছে না নয়াদিল্লি, তাই হয়তো গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশকে কাছে পেতে চায় ভারত।
ঐতিহাসিক ও ভূ-রাজনৈতিকভাবে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের তিন দিকে ভারতের অবস্থান ও এক দিকে বঙ্গোপসাগর। সঙ্গে নেপাল, ভুটানও আছে। ওই কারণে বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে চুক্তিও করেছি আমরা। চার দেশীয় এ উদ্যোগ সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে সব দেশই যে লাভবান হবে, এটা এখন বাস্তব সত্য। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম স্থল সীমানা বাংলাদেশ-ভারত ভাগাভাগি করে আসছে ঐতিহাসিক কাল থেকে। বৈশ্বিক মুক্ত বাজার ব্যবস্থায় ভারতকে যেমন আমাদের দরকার তেমনই ভারতেরও প্রয়োজন রয়েছে বাংলাদেশের। বিভিন্ন পণ্য কম খরচে ও কম সময়ে আনা নেওয়ায় জন্য দুই দেশেরই রয়েছে পরিপূরক অবস্থান। তবে ভারতের সঙ্গে আরও ভালো বাণিজ্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে ট্রানজিটের প্রশ্নে। সবার লাভ তো আর সমান হবে না, যেমন, ভারতের লাভ বেশি হতে পারে যেহেতু তারা আয়তনে বড়। আমাদের লাভ যে হবেই না এইরকম বানানো কথাবার্তা বলাও বৃথা হবে।
বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় এখন বদলে যাচ্ছে ভূ-রাজনীতি। আজকে যে আমার বন্ধু, আগামীকাল সে না-ও থাকতে পারে। এটি এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ধ্রুব সত্য। ক্ষণে ক্ষণে পাল্টে যাচ্ছে এখন বৈশ্বিক দৃশ্যপট। রাজনৈতিক বিশ্বের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে অর্থনৈতিক বিশ্ব। ট্রানজিট পুরোপুরি চালু হলে আমাদেরই সুযোগ বাড়বে বিশ্ব দরবারে। একসময় সিঙ্গাপুরের তেমন কিছুই ছিল না, মালয়েশিয়ার অবস্থাও একই। বন্দর ব্যবহার করে তারা আজ উন্নত দেশ হয়েছে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে আমরাও অনেক দূর যেতে পারি। প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা চাই কিনা এই ট্রানজিট? এশিয়ান হাইওয়ে কিংবা বিবিআইএন কাঠামো পুরাপুরি কার্যকর হলে আমাদের এশিয়ার ইমার্জিং শক্তিতে পরিণত হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার। ভারত আমাদের কাছে পণ্য বিক্রি করে যেমন লাভবান, আমরাও লাভবান হতে পারি ভারত থেকে পণ্য কিনে। উভয়ই যদি লাভবান হই, তাহলে ট্রানজিটের সমস্যা কোথায়?
ট্রানজিট হলো একটি দেশ যখন অন্য একটি দেশের ভূমি ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশের জন্য পণ্য বহন করে নিয়ে যায়। তখন প্রথম দেশটির জন্য দ্বিতীয় দেশ থেকে পাওয়া সুবিধাই ট্রানজিট বলে বিবেচিত হয়৷ যেমন, বাংলাদেশকে ভারত ট্রানজিট দিলে, বাংলাদেশের পণ্যবাহী গাড়ি ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল বা তৃতীয় কোনো দেশে যেতে পারবে। অন্যদিকে ট্রান্সশিপমেন্ট বলতে একটি দেশের পণ্যবাহী যানবাহনগুলো প্রতিবেশী দেশের সীমান্তবর্তী বন্দরে গিয়ে মালামালগুলো প্রতিবেশী দেশের যানবাহনে তুলে দিয়ে আসবে। তারপর নিজেদের যানবাহন ব্যবহার না করে সরাসরি প্রতিবেশী দেশের যানবাহনে তুলে দেবে নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে— এটাই ট্রান্সশিপমেন্ট।
ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টে বাংলাদেশের লাভ কী? এটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ নয় বরং ভারতই বাংলাদেশের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে যাবে এটি পুরোপুরি চালু হলে। ভারতের এ নির্ভরতাকে বাংলাদেশ Bargaining Tool বা দরকষাকষির ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। যা কূটনীতির অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ। বাংলাদেশ যদি দাবি করে শুল্ক সমস্যা, সীমান্ত হত্যা, সমুদ্রবিরোধ নিষ্পত্তি বা পানিবণ্টন চুক্তি না হলে আমরা ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দেব৷ তখনই কিন্তু ভারত বিবেচনা করতে বাধ্য হবে এই মডিউলে। আপনি যখন কাউকে নির্ভরশীল করতে পারবেন, তখনই কিছু আদায়ের সুযোগ আসবে আপনার হাতে। আপনি পারবেন তখন সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতে। ইতোমধ্যে ২০২৪ সালের ২৩ জুন ভারতের ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে ট্রানজিট ও তিস্তা মহাপরিকল্পনাসহ প্রায় দশটি প্রকল্প চুক্তি। যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্তও হয়েছে দু-দেশের মধ্যে। ভারত এখন সরাসরি তিস্তা মহাপরিকল্পনার বিষয়ে বেশ আগ্রহী যার ফল পাওয়া যাবে শুধু তিস্তা চুক্তি কার্যকর হলে। ২০৪১ সালে স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা ২২% অর্জন করতে চাচ্ছে বাংলাদেশ। যদিও সরকারের পরিকল্পনায় আছে ২০২৬ সালে মধ্যে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়ে গেলে বর্তমানের শুল্কমুক্ত সুবিধা আর পাবে না তাই শুল্কমুক্ত সুবিধা ধরে রাখতে ভারতের সঙ্গে একটি সেপা চুক্তি (Comprehensive Economic Partnership Agreement) করেছে। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশ ভারতে পণ্য রপ্তানিতে ৯৭% পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। বাণিজ্য বাধা দূরীকরণ ও সেপা চুক্তি কার্যকর করতেও ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পর্কের পাশাপাশি এই ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের পদক্ষেপ অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।
এই ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য-পরিবহন তথা যোগাযোগ পরিকাঠামো সম্প্রসারণের একটা সুযোগও তৈরি হবে কারণ ট্রান্সশিপমেন্টের ট্রাক বা যানবাহন বাংলাদেশেরই হবে৷ বর্তমানে যদিও ভারতের সঙ্গে আমাদের ট্রান্সশিপমেন্টে চালু আছে এবং এর সুফলও আমরা পাচ্ছি। যদিও টাকা পরিশোধের কম দর নিয়ে বির্তকও রয়েছে। ট্রানজিটের সুবিধা পুরোপুরি চালু হলে কনটেইনার ওঠানো-নামানো বাবদ মাশুল পাবে দুই দেশের বন্দর। আবার পণ্য আনা-নেওয়ার প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে শিপিং এজেন্ট, ট্রানজিট অপারেটর এবং কনটেইনার পরিবহন বাবদ দেশীয় পরিবহন খাতের কর্মীরা। এতে আয়ও হবে বেশ ভালো। অন্যদিকে ভারতকে ট্রানজিট দিলে আমাদের অবকাঠামো খাত যেমন রাস্তা-ঘাট-সেতু ইত্যাদিতে উন্নয়ন ঘটবে সমান্তরালভাবে স্থল ও সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতাও বাড়বে আগের চেয়ে বহুগুণ। এক্ষেত্রে নিজেদের স্বার্থেই ভারত বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ বা অর্থায়ন করবে। আসলে ভারতকে সুবিধা দেয়ার পরে ভারতও বাংলাদেশকে ট্রানজিট দিতে বাধ্য হবে। ফলে বাংলাদেশের জন্য ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, ইরান ইত্যাদি দেশে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হবে। রিজিওনাল কানেক্টিভিটি বা আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাণিজ্য বাড়াতে ট্রানজিট প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখবে। নেপাল ভুটানের মতো ল্যান্ড লক দেশ ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করে আঞ্চলিক যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করতে পারবে। ফলে বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিকভাবে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
রেল ট্রানজিটের বিষয়টি যে একেবারে নতুন তা কিন্তু নয়। ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগের আটটি রুট বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০০৮ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালু করে দর্শনা-গেদে রুট। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে আরও চারটি রুট চালু করে। একসময় বলা হতো ট্রানজিট হলে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশের সাত রাজ্যে (সেভেন সিস্টারস খ্যাত) বিপুল পরিমাণ বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি করা যাবে। এখন বলা হয় ট্রানজিট হলে ভারত তাদের মূল ভূখণ্ড থেকে সাত রাজ্যে পণ্য নিয়ে যাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ-ভারতের পরিবর্তে ফোকাসটি হয়ে গেল ভারত-ভারত। কারণ কী? ভারত তো নিজের দেশ হিসেবে এভাবে ভাববেই। তবে আমাদের সুযোগও বন্ধ থাকবে কি? এখন যেমন ভারতের সাত রাজ্যে বাংলাদেশী পণ্য যাচ্ছে, তখন আরও বেশি যাবে। ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে রাজ্যগুলোর দূরত্ব ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার। ট্রানজিট চালু হলে তা কমে আসবে ৫০০-৬০০ কিলোমিটারে। দূরত্ব কমার এই সুবিধাটা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরাও উপভোগ করবে ভালোভাবে।
নেপাল ও ভুটান যথাক্রমে ১৯৭৬ ও ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি করেছিল৷ কিন্তু তা কাজ হয়নি নানা প্রতিবন্ধকতায়৷ এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে স্থলবন্দর ও ট্রানজিট রুটের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে ২০১০ সালের পর৷ বর্তমানে নেপাল ও ভুটানের ট্রাক ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত পণ্য বহণ করতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতর প্রবেশ করে মোংলা বা চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারে না৷ এক্ষেত্রে বাংলাদেশী ট্রাকে পণ্য নিয়ে ভারতীয় সীমান্তে গিয়ে তা খালাস করা হয়৷ তারপর আবার ভারত, নেপাল বা ভুটানের ট্রাকে তা তুলে নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে চলে যায়৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ট্রানজিট নিয়ে যে আলোচনার ঝড় উঠছে তা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তা কী আমরা জানি? ট্রানজিটের সুবিধা দেওয়ার মতো আমাদের সেই অবকাঠামো ও বন্দর সক্ষমতা আদৌও কি আছে?
না শুধু প্রচার মাধ্যমে এই নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত হচ্ছি আমরা। কেন তাহলে দেশ গেল গেল বলে হাই তুলছি? এটা ঠিক, ট্রানজিটের আওতায় ভারত যদি সড়ক, নৌ ও রেল রুটগুলো ব্যবহার করে তবেই আমাদের প্রান্তিক জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া আসবে ও রাজস্ব লাভ হবে।
২০১৫ সালে BBIN (Bangladesh Bhutan India Nepal) চুক্তি হয়েছিল মোটরযান নিয়ে। যদিও এই ট্রানজিট চুক্তিতে বাংলাদেশ কোনো দৃশ্যমান ফল পাচ্ছে না অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ার ফলে। আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট একটি স্বাভাবিক বিষয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এক এবং অভিন্ন মুদ্রা ব্যবহার করে আসছে তাহলে সীমানা ব্যবহার নিয়ে দ্বন্দ্ব কেন? আমারা কী তবে উন্নয়নকে বাদ দিয়ে দরজা বন্ধ করে থাকব? ভারতের সঙ্গে আমাদের অমীমাংসিত বিভিন্ন বিষয় যেমন তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি, সীমান্ত সমস্যা, সমুদ্রবিরোধ নিষ্পত্তি, নন-ট্যারিফ বাঁধা দূরীকরণ ও বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই ট্রানজিট। তাহলে এসব নিয়ে কেন আমরা ফোকাস করছি না?
বাংলাদেশ স্বাধীনভাবে তার বৈদেশিক নীতিমালা সুনির্দিষ্টভাবে মেনে চলছে এবং সফলভাবেই সমান্তরাল কূটনৈতিক কৌশল প্রয়োগ করছে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে। যেহেতু ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র স্বাভাবিকভাবেই দু-দেশের সম্পর্কের গভীরতা ও নির্ভরশীলতাও বেশি থাকবেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ Zero Sum Game (একপাক্ষিক লাভ) না হয়ে যেন Win-Win Situation (দু-পক্ষের লাভ) বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিজেদের প্রয়োজনেই ভারসাম্য নীতি প্রয়োগ করছি। এখন প্রশ্ন উঠছে ভারতকে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট দেয়ায় বাংলাদেশের লাভ না ক্ষতি? উত্তর হয়তো সময় বলে দেবে। তবে অবকাঠামো উন্নয়ন যখন শেষ কথা তাহলে আমাদের তো অপেক্ষা করতেই হবে। পররাষ্ট্রনীতির চ্যালেঞ্জ কিংবা প্রতিবন্ধকতা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে না জেনে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়, এতে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও সংবিধানের ওপর আঘাত আসবে। আমাদের এই বিষয়গুলোর প্রতি আরও যত্ন ও আস্থাশীল হওয়া উচিত।