নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীতে বরযাত্রীর নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দশজন দাঁড়িয়েছে।
Published : 19 Dec 2020, 02:17 PM
শনিবার ভোরে মনপুরা থেকে সর্বশেষ এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে হাতিয়া নৌ পুলিশ জানিয়েছে।
এ নিহতের নাম জাকিয়া বেগম, তবে বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ঘটনার দিন টাংকির ঘাট এলাকা থেকে কনেসহ সাতজন এবং গত শুক্রবার দুপুরে গজারিয়া এলাকা থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তারা হল- চানন্দি ইউনিয়নের পূর্ব আজিম নগর গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে মো. হাসান (৭) ও রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে নিহা (১)।
গত সোমবার হাতিয়ার নলের চরের পূর্ব আজিমনগর গ্রামের ইব্রাহিম সওদাগরের মেয়ে তাসলিমা আক্তারের (২১) সঙ্গে ভোলার ঢালচরের বেলাল মিয়ার ছেলে মো. শরীফের বিয়ে হয়।
পরদিন দুপুরে আয়েশা আলী ঘাট থেকে বরের বাড়ি ভোলার মনপুরা উপজেলার ঢালচর যাওয়ার পথে হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের কাছে মেঘনা নদীতে বরযাত্রীর নৌকাটি ডুবে যায়।
বেশিরভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নববধূ তাছলিমাসহ অন্তত ১৫ জন নিখোঁজ হয়।
শুক্রবার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা থেকে হাসানের লাশ এবং চর গজারিয়া থেকে নিহারের লাশ উদ্ধার করা হয়।
দশজনের লাশ উদ্ধারের পরও আরও পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছে জানিয়ে নৌ পুলিশের পরিদর্শক একরামুল্লা বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে নৌ পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।