তাদের মধ্যে সর্বশেষ শুক্রবার বিকালে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার হয় বলে জানান হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের।
তারা হল- চানন্দি ইউনিয়নের পূর্ব আজিম নগর গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে মো. হাসান (৭) ও রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে নিহা (১)।
মঙ্গলবার হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটের কাছে মেঘনা নদীতে বরযাত্রীর নৌকা ডুবে গেলে স্থানীয়রা কনেসহ সাতজনের লাশ উদ্ধার করে।
শুক্রবার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা থেকে হাসানের লাশ আর চর গজারিয়া থেকে নিহারের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ ও হাতিয়া কোস্টগার্ড স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট তাহসিনুর রহমান জানান।
হাতিয়ার নলের চরের পূর্ব আজিমনগর গ্রামের ইব্রাহিম সওদাগরের মেয়ে তাসলিমা আক্তারের (২১) সঙ্গে গত সোমবার ভোলার ঢালচরের বেলাল মিয়ার ছেলে মো. শরীফের বিয়ে হয়। পরদিন বরের বাড়ি যাওয়ার সময় নৌকাটি ডুবে যায়।
ওই দিন বিকালে রামগতির টাংকিরঘাট এলাকা থেকে জেলেরা নৌকাটি তুলে ভেতর থেকে তাসলিমাসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে চানন্দি ঘাটে আরও দুটি মরদেহ পাওয়া যায়।
এরপর আটজন নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছেন ওসি আবুল খায়ের।
হাতিয়ার নলচিরা নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক একরাম উল্লাহ বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে নৌপুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।