হাতিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে চেয়ারম্যান ঘাটের দক্ষিণ-পশ্চিমে মেঘনা নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়।
এ ঘটনায় এখনও ‘অনেক যাত্রী’ নিখোঁজ রয়েছে বলে জানালেও পুলিশ কোনো সংখ্যা বলতে পারেনি।
তারা হলেন- নববধূ হাতিয়া উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের পূর্ব আজিমনগর গ্রামের মোহাম্মদ ইব্রাহীমের মেয়ে তাসলিমা বেগম (১৯), একই গ্রামের আলাউদ্দিনের স্ত্রী রাহেনা বেগম(৩০), খোরশেদ আলমের স্ত্রী নূরজাহান (৬৫), নাসিরপুর গ্রামের ফয়েজ উল্লাহর মেয়ে হোসনে আরা রুপা (৬), সদর উপজেলার বদরপুর গ্রামের আকবর হোসেনের মেয়ে আফরিন আক্তার লামিয়া(৯), আকবর হোসেনের মেয়ে আসমা বেগম (২৩) ও মো. আলমগীরের মেয়ে লিলি আক্তার(৮)।
তাছাড়া ট্রলার থেকে অন্তত ৩০ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওসি খায়ের বলেন, অন্যদের উদ্ধারে পুলিশসহ স্থানীয়রা কাজ করছে। ট্রলারের যাত্রীরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাওয়ায় উদ্ধার করতে সমস্যা হচ্ছে।
ওসি বলেন, নিহতদের মধ্যে রাহেনা ও নূরজাহানের মরদেহ হাতিয়ার চানন্দি ইউনিয়নের শান্তিপুর ঘাট থেকে, নববধূসহ বাকি পাঁচজনের মরদেহ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার টাংকির ঘাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে হাতিয়া থানার পুলিশ, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডসহ স্থানীয় জেলেরা কাজ করছে। নদীতে ডেউ বেশি থাকায় এবং সবাই বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যাওয়ায় ঠিক কতজন জীবিত উদ্ধার হয়েছে এবং আরও কতজন নিখোঁজ আছে তা এখনই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।