খুলনায় ফেরিঘাটে ট্রলার থেকে নামার সময় শিশুটি নদীতে পড়ে যায় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
Published : 07 May 2024, 08:17 PM
খুলনার দাকোপ উপজেলায় ফেরিঘাটের পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে সাত বছরের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। সে পরিবারের সঙ্গে সুন্দরবন ঘুরতে গিয়েছিল।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ঝপঝপিয়া নদীর পানখালী ফেরিঘাটে (বরণপাড়া) এ ঘটনা ঘটে বলে জানান দাকোপ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা আবুল বাসার।
নিখোঁজ ঋদ্ধি বটিয়াঘাটা উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের কর্মকর্তা রতন রায়ের মেয়ে। তাদের বাড়ি দিনাজপুরে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আবুল বাসার জানান, পানখালী ফেরিঘাটে দুটি পরিত্যক্ত ফেরি বাঁধা রয়েছে। সম্প্রতি ঝড়ের সময় পন্টুন থেকে একটি ফেরি সরে যায়। ট্রলার থেকে নামার সময় শিশুটি ওই ফাঁকা জায়গা দিয়ে নদীতে পড়ে যায়।
তিনি বলেন, “সোমবার রাতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে উদ্ধারকাজ চলছে। নদীতে প্রচুর স্রোত থাকায় উদ্ধার কাজ চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরও চেষ্টা অব্যাহত আছে।”
রতন রায়ের সহকর্মী বটিয়াঘাটা উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আমীর বলেন, সোমবার সকালে স্ত্রী-সন্তানসহ আট থেকে নয়জন স্বজন নিয়ে ট্রলারে করে সুন্দরবনের করমজল পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যান রতন রায়। বিকাল ৪টার দিকে সেখান থেকে ফেরার পথে দাকোপের বাজুয়া এলাকায় বৃষ্টির কবলে পড়েন তারা।
“সেখানে ঘণ্টাখানেক বিরতি নিয়ে আবারও ট্রলারে করে বটিয়াঘাটার উদ্দেশে রওনা দেন। তবে তখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকায় তারা পানখালী ফেরিঘাটে নেমে স্থলপথে বটিয়াঘাটা আসার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মোতাবেক পানখালী ফেরিঘাটে নামেন তারা।
“ট্রলার থেকে প্রথমে একজন নেমে ইজিবাইক ভাড়া করতে যান। এর মধ্যে ঋদ্ধিও পন্টুনে নেমে পড়ে। সেখানে নেমে পন্টুনে দৌড় দেওয়ায় সেই ফাঁকা জায়গা দিয়ে ঋদ্ধি নদীতে পড়ে যায়।”
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।