নিজের ওপর হামলার ঘটনায় শুরুতে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের সংশ্লিষ্টতা নেই বললেও এখন তাকেই দুষছেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার বিদায়ী মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী।
Published : 26 Jan 2022, 06:46 PM
হামলার ঘটনার এক সপ্তাহ পর বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ আনেন।
সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানকে গালিগালাজ করার অভিযোগ তুলে গেল ১৮ জানুয়ারি সেলিমুলের ওপর হামলা চালায় কয়েকজন যুবক। এ ঘটনায় সিরাজ, মিনার ও ইলিয়াছ নামে তিনজনের নাম উল্লেখ করে মোট চারজনের নামে মামলা করেন সেলিমুল।
আসামিদের মধ্যে সিরাজ ও ইলিয়াছকে সোমবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
হামলার শিকার হওয়ার পর সেলিমুল বলেছিলেন, এ ঘটনায় সাংসদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু সপ্তাহ বাদেই নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে অভিযোগের তীর সাংসদের দিকেই ছুঁড়লেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিজের ওপর হামলার ঘটনার বর্ণনা করে সেলিমুল বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের দীর্ঘদিনের প্রকাশ্য বিরোধ আছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৮ জানুয়ারি তার লোকজন আমার ওপর হামলা চালিয়েছে। সিরাজ, মিনার ও ইলিয়াছ সাংসদের লোক হিসেবে পরিচিত।”
সংসদ সদস্যের অনুসারীরা হামলার পর থেকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
একসময়ে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত সেলিমুল হক চৌধুরী বাঁশখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১৬ জানুয়ারি হওয়া বাঁশখালী পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
সেলিমুলের ভাষ্য, “বর্তমান তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংসদ সদস্যের পক্ষে নেই। দলের প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনের দুরবস্থা বাঁশখালীতে। সাংসদ নিজের এবং বিএনপি-জামায়াতের লোকজন নিয়ে দল চালাচ্ছেন এবং এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করতে চান।”
তাকে ও মুক্তিযোদ্ধাদের বাধা মনে করায় সাংসদ তাকে ‘হত্যার চেষ্টা’ করেছে বলে অভিযোগ করেন সেলিমুল।
হামলার পর ঘটনার সঙ্গে সাংসদের সম্পৃক্ততা নেই বললেও এখন কেন মত পাল্টালেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “প্রথমে বিষয়টি জানতে না পারলেও বিভিন্নভাবে এবং গ্রেপ্তার আসামিদের মারফত জানতে পেরেছি, এ ঘটনার ইন্ধন দিয়েছেন সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর।”
অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে টেলিফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।