মঙ্গলবার রাতে বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ারবাজার এলাকায় যুব মহিলা লীগের এক নেত্রীর বাড়িতে ওই হামলার ঘটনার পর বুধবার বিকালে সেলিমুল নিজে বাদী হয়ে মামলাও করেছেন।
সেলিমুল হক চৌধুরী বাঁশখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১৬ জানুয়ারি হওয়া বাঁশখালী পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত এস এম তোফাইল হোসাইন নৌকার মনোনয়ন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সেলিমুল হক বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বাঁশখারী উপজেলার যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা মনির দাওয়াতে তার মিয়ার বাজারের বাসায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে হীরা মনির পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত হামিদ ও জামাল নামে আরও দুইজন ছিলেন।
“হীরা মনির এক ভাই পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। সে বিষয়ে আলাপ করতেই সে আমাকে বাসায় ডেকেছিল। সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে একদল যুবক ওই বাড়িতে গিয়ে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়।
“কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে সিরাজ নামে এক যুবকের নেতৃত্বে চারজন বাড়িতে ঢুকে আমাকে গালিগালাজ করে এবং গায়ে হাত তোলে।’’
প্রায় ৭৫ বছর বয়সী সেলিমুল বলেন, “সিরাজ মারমুখী হয়ে বলে, ‘এমপিকে গালিগালাজ কেন করেছ?’ তারপর আমার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে নাজেহাল করে। আমি থানার ওসিকে ফোন করলে পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।’’
এ ঘটনায় বাঁশখালী থানায় করা মামলায় সিরাজসহ চারজনকে আসামি করেছেন তিনি। বাকিদের মধ্যে দুজনের নাম ইলিয়াস ও মিনার, আরকেজন অজ্ঞাতনামা।
বাঁশখালী থানার ওসি কামাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেয়র সাহেব হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করে আমাদের ফোন দিয়েছেন। আমরা সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়ে উনাকে উদ্ধার করি। উনি মারধর-কিলঘুষি মারার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।”