সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ১৩ বছর আগের একটি মামলায় সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।
Published : 13 Sep 2020, 03:04 PM
চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ইসমাইল হোসেন রোববার দুদকের এই মামলায় বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেন।
নিয়ম অনুযায়ী বদির উপস্থিতিতে আদালতে এদিন অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়- তিনি দোষী না নির্দোষ। বদি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সুবিচার চান। পরে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত দেন।
দুদকের আইনজীবী সানোয়ার হোসেন লাভলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি করা হয়েছিল। পরের বছর ২০০৮ সালের ২৪ জুন এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগ টিকেটে কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি হন বদি। এরপর ইয়াবা পাচারের হোতা হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকায় তার নাম এলেও তাতে ২০১৪ সালে আবারও তিনি নৌকার প্রার্থী হন এবং নির্বাচিত হন।
ক্ষমতাসীন দলের এমপি থাকা অবস্থায় ২০১৬ সালে দুদকেরই এক মামলায় বদির তিন বছরের কারাদণ্ড হয় ঢাকার একটি আদালতে। ওই মামলা বর্তমানে হাই কোর্টে বিচারাধীন।
বদির ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য তুলে ধরে ঢাকার ওই মামলায় বলা হয়েছিল, ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বদি।
এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে বদির বদলে তার আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তার স্ত্রী শাহীনা আক্তার চৌধুরী। তিনিই এখন ওই আসনের এমপি।
চট্টগ্রামের এ মামলায় কক্সবাজারের আওয়ামী লীগ নেতা বদির বিরুদ্ধে ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বদির আবেদনের প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকলেও ২০১৭ সালে উচ্চ আদালত সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেয়।