অন্য চারজনের মধ্যে একজন তার ফুপাত ভাই, একজন খালাত ভাই, একজন ভাগনে ও একজন বেয়াই।
শনিবার কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ১০২ জন ইয়াবা কারবারি।
আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ২৪ জন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা তালিকায় মাদক চোরাচালানের ‘গডফাদার’ হিসেবে চিহ্নিত ছিলেন। তাদের মধ্যে আব্দুর রহমান বদির এই আট ভাই-বেয়াইও ছিলেন।
এরা হলেন- বদির ভাই আব্দুর শুক্কুর (৩৩), শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক (২৯), আমিনুর রহমান ওরফে আব্দুল আমিন (৪১) ও ফয়সাল রহমান (২৯), ফুপাত ভাই কামরুল হাসান রাসেল (৩৫), খালাত ভাই মং অং থেইন ওরফে মমচি (৪৮), ভাগনে মো. সাহেদ রহমান নিপু (৩৩) এবং বেয়াই সাহেদ কামাল ওরফে সাহেদ (৩২)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকায় ইয়াবা পাচারের ‘হোতা’ হিসেবে কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আব্দুর রহমান বদির নামও এসেছিল।
গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা মাদক কারবারিদের তালিকায় কক্সবাজারের এক হাজার ১৫১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে শীর্ষ ‘ইয়াবা গডফাদার’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ৭৩ জনকে। সর্বশেষ তালিকাসহ আগের সব তালিকায় ‘শীর্ষ গডফাদার’ হিসেবে আব্দুর রহমান বদির নাম ১ নম্বরে রয়েছে।
তবে এদিন আত্মসমর্পণ করেননি আব্দুর রহমান বদি। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানেও ছিলেন না তিনি। তার স্ত্রী কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের বর্তমান সাংসদ শাহীন আক্তার চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করা আব্দুর রহমান বদি গত ১০ জানুয়ারির ওই সভায় ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত জানাতে পাঁচ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। এর মাসখানেক পর আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করলেন শতাধিক মাদক কারবারি।
বদির বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, “ইয়াবা পাচার নিয়ে সাবেক সাংসদ বদির বিরুদ্ধে নানা আলোচনা ও সমালোচনার কারণে বিতর্ক এড়াতে তাকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ইয়াবা বিস্তার রোধে সরকার সব ধরনের বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করে যাবে।”
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য আব্দুর রহমান বদির মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।