যুক্তরাষ্ট্র সোমবার ভোটদানে বিরত থাকার মাধ্যমে গাজা যুদ্ধ নিয়ে তাদের আগের অবস্থান পরিবর্তন করার বার্তা দিয়েছে। যা ক্ষুব্ধ করেছে ইসরায়েলকে।
Published : 26 Mar 2024, 01:29 PM
ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে মঙ্গলবার তেহরান সফরে যাচ্ছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হওয়ার একদিন পর হানিয়েহর তেহরান যাওয়ার এই খবর এলো।
ইরানের সরকারি প্রেস টিভি হানিয়েহর তেহরান সফরে যাওয়ার খবর জানিয়েছে।
ছয় মাস হতে চলা গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে তেহরান। গাজা যুদ্ধে ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ছোট্ট ওই ভূখণ্ডটি দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। এ অবস্থায় ইসরায়েল সেখানে গাজাবাসীদের শেষ আশ্রয় স্থল মিশর সীমান্তবর্তী দক্ষিণের রাফাহ শহরে স্থল অভিযানের পরিকল্পনা করেছে। যে অভিযান পরিকল্পনাকে ‘ভুল’ বলে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাফাহ তে ১১ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়ে আছে।
এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সব ইসরায়েলি জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তির প্রস্তাব রেখে সোমবার যে প্রস্তাব তোলা হয়েছিল তাতে ভোট দান থেকে বিরত থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেওয়া যুক্তরাষ্ট্র এতদিন নিরাপত্তা পরিষদে ওঠা বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে ভিটো দিয়ে সেগুলো বাতিল করে দিয়েছে।
কিন্ত এবার ভিটো না দিয়ে বরং ভোটদানে বিরত থাকার মাধ্যমে দেশটি গাজা যুদ্ধ নিয়ে তাদের আগের অবস্থান পরিবর্তন করার বার্তা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তনে ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরায়েল।
সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আর বাকি ১৪ সদস্যই প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দিয়েছে। পরিষদের ১০ নির্বাচিত সদস্য এই প্রস্তাব এনেছিল। স্থায়ী পাঁচ সদস্যের কেউ একজন ভিটো দিলেই প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।
গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস
যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হওয়ার পরদিনই হানিয়েহর তেহরান সফর স্পষ্টতই এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তিনি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার জন্যই সেখানে গেছেন। হামাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী সমর্থক তেহরান।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাসের বিষয়টিকে ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
বলেছেন, “আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে এটি বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।”
হামাসও জাতিসংঘের সর্বশেষ রেজ্যুলেশনকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বলেছে, একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হওয়া প্রয়োজন।