নগরজুড়ে জলাবদ্ধতার মধ্যে লোকজনকে কোমর সমান পানি ভেঙে চলতে ও সড়কগুলোতে তীব্র যানজট দেখা গেছে।
Published : 08 Jul 2024, 05:05 PM
ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে রাতভর ভারি বৃষ্টিপাতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, বন্ধ হয়ে গেছে দেশটির বৃহত্তম নগরীর ট্রেন পরিষেবা আর বিমান চলাচলও বিঘ্নিত হয়েছে।
সোমবার রাত ১টা থেকে ভোর ৭টা পর্যন্ত নগরীর কিছু এলাকায় ৬ ঘণ্টায় ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি ঝরেছে। কিছুক্ষণ বিরতি থাকার পর সেখানে আবার বৃষ্টি হচ্ছে।
এনডিটিভি লিখেছে, এই পরিস্থিতিতে মুম্বাই, থানে, পালঘর ও কোঙ্কাণ অঞ্চলজুড়ে ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। ভিক্রোলির বীর সাভারকার মার্গ পৌর স্কুল এবং পৌরসভার ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার ২৪ ঘণ্টায় ৩১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
প্রবল বৃষ্টির কারণে অর্ধশতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সামাজিক মাধ্যম এক্স এ করা পোস্টে সতর্কবার্তা দিয়ে কয়েকটি এয়ারলাইন্স যাত্রীদের বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জেনে নিতে অনুরোধ করেছে।
সামাজিক মাধ্যমে আসা ভিডিওগুলোতে নগরজুড়ে লোকজনকে কোমর সমান পানি ভেঙে চলতে ও সড়কগুলোতে গাড়ির তীব্র জট দেখা গেছে। দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে নগরীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
দম্বিভলি স্টেশনে ট্রেনের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে, সেখানে ট্রেনলাইনগুলো পানিতে তলিয়ে ছিল। ওরলি, বুনতারা ভবন, মুম্বাইয়ের কুরলা ইস্ট ও কিংস সার্কেল এলাকা এবং দাদর ও বিদ্যাবিহার স্টেশন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
#WATCH | Local train services have resumed on Central Line after rainwater has receded; Visuals from Kurla station in Mumbai pic.twitter.com/r4vJEYr1Vc
— ANI (@ANI) July 8, 2024
এনডিটিভি লিখেছে, মুম্বাইয়ের সঙ্গে পাশের থানে, পালঘর ও রায়গড়ের মধ্যে যে ট্রেন পরিষেবা আছে, প্রতিদিন ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ তা ব্যবহার করে।
কর্মকর্তারা বলছেন, বৃষ্টি যদি ২ ঘণ্টার জন্য থামে, তাহলেই পানি নেমে যাবে।
কিন্তু সোমবার দিনভরই বৃষ্টির আভাস দিয়ে রেখেছে মুম্বাই আবহওয়া অফিস। দুপুরে ৪ দশমিক ৪ মিটার জলোচ্ছ্বাসের আভাস ছিল।
#WATCH | Pedestrian underpass at Vile Parle East waterlogged due to heavy rainfall in Mumbai pic.twitter.com/SAxCj5BYZ0
— ANI (@ANI) July 8, 2024
বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা মধ্যে ভারি বৃষ্টি ও হড়কা বানে বাসিন্দ ও খার্দির মধ্যবর্তী রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এনডিটিভি লিখেছে, এই বাহিনীর সদস্যরা মহারাষ্ট্রের থানের বিভিন্ন জলমগ্ন রিসোর্ট থেকে ৪৯ জন এবং পালঘরের ১৬ গ্রামবাসীকে উদ্ধার করেছে। বন্যাদুর্গত রিসোর্ট থেকে লোকজনকে উদ্ধারের সময় নৌকা ও লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করা হয়।