Published : 05 May 2025, 06:29 PM
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।
এই পরিকল্পনার মধ্যে আছে গাজা দখল করা এবং ভূখন্ডটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা। গাজায় অভিযান বাড়ানোর প্রস্তুতি হিসাবে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রিজার্ভ সেনা তলব করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
হামাসকে পরাস্ত করা এবং তাদের হাতে বন্দি বাদবাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে চাপ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আগামী সপ্তাহে অঞ্চলটি ভ্রমণ করার পরই কেবল এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা রোববার সন্ধ্যায় গাজা অভিযান নিয়ে আলোচনায় বসে।
গাজায় গত ১৮ মার্চে ২ মাসের যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েল সেখানে নতুন করে পূর্ণশক্তি নিয়ে এই অভিযান শুরু করেছিল।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার রোববারের বৈঠকে গাজায় কয়েকমাসে স্থলঅভিযান ধীরে ধীরে বাড়ানোর পক্ষে সর্বসম্মত ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
বিবিসি জানায়, পরিকল্পনার প্রথম ধাপে গাজার বাড়তি আরও এলাকা দখলে নেবে ইসরায়েল। এরপর ইসরায়েল এবং মিশরের সঙ্গে গাজা সীমান্ত বরাবর ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠা করা ‘বাফার জোন’ সম্প্রসারণ করা হবে।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে হারেৎজ পত্রিকা জানিয়েছে, সম্প্রসারিত অভিযানটি আগের অভিযানের মতো হবে না। আগের আক্রমণ-ভিত্তিক অভিযানের বদলে এবার ভূখণ্ড দখলের অভিযান চালানো হবে এবং গাজায় ইসরায়েলের স্থায়ী উপস্থিতিও বজায় রাখা হবে।
রোববার ইসরায়েলের নৌ ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল আজমির জানান, গাজায় অভিযান সম্প্রসরণ এবং জোরদার করার জন্য হাজার হাজার রিজার্ভ সেনা তলব করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়। সেদিন থেকেই হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত হয়েছে ৫২ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ। তাদের অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। ৯০ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।