যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের পর পুতিনের এই হামলা বন্ধে রাজি থাকার কথা জানিয়েছে ক্রেমলিন।
Published : 18 Mar 2025, 09:43 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে ফোনালাপ হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। এরপর ক্রেমলিন জানিয়েছে, পুতিন ইউক্রেইনের জ্বালানি অবকাঠামোয় ৩০ দিনের জন্য হামলা বন্ধ করতে রাজি হয়েছেন।
ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিস থেকে ফোনে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি ইউক্রেইনে একমাসের এই হামলা বন্ধের প্রস্তাব দিলে পুতিন তাতে রাজি হয়ে যান
ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন।
আলোচনায় বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বিশেষ দায়িত্ব থাকা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে ট্রাম্প ও পুতিন দুজনেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আর শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ হিসেবে পুতিন ইউক্রেইনের জ্বালানি এবং অবকাঠামোয় হামলা বন্ধে ট্রাম্পের সঙ্গে একমত হয়েছেন। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, নতুন ইউক্রেইন শান্তি আলোচনা মধ্যপ্রাচ্যে অবিলম্বেই শুরু হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইন যুদ্ধ অবসানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন এবং টেকসই শান্তির মাধ্যমে এই সংঘাত শেষ করা উচিত বলে একমত হয়েছেন।
ট্রাম্পের উপদেষ্টা ক্যারোলাইন লেভিট এক পোস্টে জানান, দুই নেতা যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে ট্রাম্পের একটি প্রস্তাবেও গঠনমূলক সাড়া দিয়েছেন পুতিন। বিষয়টির বিস্তারিত খুঁটিনাটি নিয়ে শিগগিরই আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
তাছাড়া, কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতি বাস্তাবায়ন নিয়ে আলোচনা করতেও দু’নেতা একমত হয়েছেন। ভবিষ্যতে সংঘাত ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যকে সহযোগিতার সম্ভাব্য অঞ্চল হিসাবে আলোচনা করেছেন তারা।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "উভয় পক্ষই চায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক আরও ভাল হোক। ইউক্রেইন ও রাশিয়া যে রক্ত ও সম্পদ এই যুদ্ধে ব্যয় করছে, তা তাদের জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করা উচিত ছিল।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই সংঘাত কখনও শুরুই হওয়া উচিত ছিল না এবং আন্তরিক ও সদিচ্ছাপূর্ণ শান্তি উদ্যোগের মাধ্যমে অনেক আগেই শেষ হওয়া উচিত ছিল।”
ট্রাম্প ও পুতিন কৌশলগত অস্ত্র বিস্তার রোধ এবং ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হলে তা দুই দেশের জন্যই বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। এতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পর অর্থনৈতিক চুক্তি ও ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”