চাল প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় অবহেলার অভিযোগে একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
Published : 27 Sep 2017, 06:28 PM
বিবিসি জানায়, ইংলাকের অনুপস্থিতিতে বুধবার থাই সুপ্রিম কোর্ট এ রায় ঘোষণা করে।
রায় ঘোষণার সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, সরকারি চাল ক্রয় প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে ইংলাক জানতেন। কিন্তু এটি থামাতে তিনি কোনও ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি।
“অভিযুক্ত জানতেন সরকার থেকে সরকারে চাল চুক্তি বেআইনি, কিন্তু তিনি তা প্রতিরোধ করেননি।”
“এটি বেআইনিভাবে লাভবান হওয়ার একটি পন্থা। তার বাইরে, অভিযুক্তের কার্যক্রম দায়িত্বে অবহেলা বলেও বিবেচিত হয়েছে।”
সরকারি চাল ক্রয় প্রকল্পে ভর্তুকি নিয়ে লাখ লাখ ডলার অনিয়মের অভিযোগ উঠার পর ২০১৪ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ইংলাক ক্ষমতাচ্যুত হন।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, নিজের সমর্থক কৃষকদের খুশি করতে চাল ক্রয় প্রকল্পে আন্তর্জাতিক বাজার দরের চেয়ে বেশি মূল্যে চাল কিনেছিল ইংলাক সরকার। এতে সরকারি গুদামে চাল উপচে পড়ে, কিন্তু বেশি দামে কেনায় আন্তর্জাতিক বাজারে সেই চাল রপ্তানি করা যায়নি।
বর্তমানে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের দাবি, যার মাধ্যমে রাষ্ট্রের অন্তত ৮শ’ কোটি ডলার অপচয় হয়েছে।
২০১৫ সালের মার্চ মাসে ইংলাকের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে একটি ফৌজদারি মামলা গ্রহণ করে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত; যদিও ইংলাক বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত ২৫ অগাস্ট মামলার শুনানিতে ইংলাক আদালতে হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
তার পরপরই এই নেত্রীর দেশ ছাড়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
বিচার এড়াতে ইংলাক বর্তমানে তার ভাই থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার দুবাইয়ের বাড়িতে পালিয়ে গেছেন বলে জানান তার দল পুয়ে থাই পার্টির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।
যদিও সাংবাদিকরা এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি, এমনকি থাইল্যান্ড সরকারও স্পষ্ট করে কিছু বলছে না।
থাকসিনও দুর্নীতির অভিযোগে একটি মামলায় ২০০৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এবং কারাদণ্ডের বদলে দুবাইয়ে স্বেচ্ছা নির্বাসন বেছে নেন।
২০১১ সালে থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হন ইংলাক।
ইংলাককে নিয়ে পুরো থাইল্যান্ড বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কৃষকশ্রেণী এবং দরিদ্রদের মধ্যে এখনও ইংলাক দারুণ জনপ্রিয়।