কী কারণে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহন করা হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় তা খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি।
Published : 20 May 2024, 10:05 PM
ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ রোববারের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহতদের মৃতদেহ আগামী মঙ্গলবার তাবরিজ থেকে উত্তরপূর্বের নগরী মাশহাদে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফার্স নিউজ। মাশহাদে জন্ম এবং বেড়ে উঠেছিলেন রাইসি।
তার আগে স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টার দিকে তাবরিজ নগরীর একটি প্রার্থনা হলে নিহতদের স্মরণে বড় ধরণের প্রার্থনা ও শোক অনুষ্ঠান আয়োজন হয়।
ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড পরিচালিত ইরানের সংবাদ সংস্থা ফার্স নিউজ আরও জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে রাইসি এবং নিহত অন্যান্যদের মৃতদেহ নিয়ে একটি বিশাল মিছিল তাবরিজ মার্টিরস স্কয়ার থেকে নগরীর বিমানবন্দরে যাবে। সেখান থেকে মৃতদেহগুলো মাশহাদ নগরীতে নেওয়া হবে।
১৯৬০ সালে মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন রাইসি। সেখানে তিনি আস্তান-ই কুদস-ই রাজাভি নামে একটি প্রভাবশালী দাতব্য সংস্থা পরিচালনা করতেন। ওই দাতব্য সংস্থা থেকে ইমাম রেজার মাজার পরিচালনা করা হয়।
রোববার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গে থাকা মোট নয়জন।
কী কারণে ওই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় তা খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি।
ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানায়, একজন সামরিক কমান্ডারের নেতৃত্বে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি দল ইস্টার্ন আজারবাইজানের দুর্গম পার্বত্যাঞ্চলের দুর্ঘটনাস্থলে যাবে।
আমরা জড়িত নই: রাইসির মৃত্যু নিয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তা
ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায়
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানি প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যু