হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাব্দুলাহিয়ানের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক ইরানি কর্মকর্তা।
Published : 19 May 2024, 08:06 PM
বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টার।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, রোববার আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি প্রকল্প উদ্বোধনের পর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি। ঘন কুয়াশার মধ্যে হেলিকপ্টারটি পার্বত্যাঞ্চলে দুর্ঘটনায় পড়ে।
উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের পথে রওনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাব্দুলাহিয়ানের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। আমরা এখনও আশাবাদী। কিন্তু ঘটনাস্থল থেকে যে তথ্য আসছে তা খুবই উদ্বেগজনক।
ইরানের আধা-সরকারি ফারস বার্তা সংস্থায় ইব্রাহিম রাইসির জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টিভিতে আসা ভিডিও ফুটেজে মাসাদ শহরে মানুষজনকে প্রেসিডেন্টের জন্য দোয়া করতেও দেখা গেছে।
ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ভাহিদি রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে বলেছেন, রাইসির হেলিকপ্টার বহরের তিনটির মধ্যে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ে।
ওই বহরে থাকা অন্য দুটি হেলিকপ্টার অক্ষত রয়েছে। রেড ক্রিসেন্টের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আবহাওয়া খারাপ থাকায় দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আজারবাইজানের সীমান্ত সংলগ্ন জোলফা শহরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
হেলিকপ্টারে রাইসির সঙ্গে ভ্রমণ করছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ানও। উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে সে চেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে।
দুর্ঘটনাস্থলে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং কুয়াশা রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এমন আবহাওয়ার কারণেই হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি রোববার আরাস নদীর ওপর একটি বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধন করতে আজারবাইজান সীমান্তে গিয়েছিলেন। হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার খবর আসার আগে রাইসিকে হেলিকপ্টারের কাছে দেখাও গেছে।
ইরানের মেহের বার্তা সংস্থা জানায়, হেলিকপ্টারে ওঠার আগে রাইসিকে ছবিতে দেখা গেছে। তবে সেটি ইরান-আজারবাইজান সীমান্তে বাঁধ পরিদর্শনের আগে না পরে তা স্পষ্ট নয়।