ডেনমার্কের সঙ্গে ফ্রান্সের আলোচনা চলছে জানিয়ে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ডেনমার্ক সাহায্য চাইলে ফ্রান্স এগিয়ে যাবে।
Published : 29 Jan 2025, 08:48 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বারবার গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকির মুখে ফ্রান্স সেখানে সেনা পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছে। এ নিয়ে ডেনমার্কের সঙ্গে ফ্রান্সের আলোচনাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-নোয়েল ব্যারোট।
ফ্রান্সের সুড রেডিওতে এক সাক্ষাৎকারে ব্যারোট একথা বলেন। তিনি জানান, ডেনমার্কের সঙ্গে সেনা মোতায়েন নিয়ে ফ্রান্স আলোচনা করছে। তবে এখনই এই সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার ইচ্ছা ডেনমার্কের নেই।”
তবে ব্যারোট বলেন, “ডেনমার্ক যদি সাহায্যের জন্য আহ্বান জানায়, তাহলে ফ্রান্স সাহয্য করতে এগিয়ে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “ইউরোপের সীমান্ত সার্বভৌম, তা উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম যাই হোক না কেন। কেউ তাদেরকে আমাদের সীমান্তের সঙ্গে তালগোল পাকাতে দেবে না।”
ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ডেনমার্ক ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ইতমধ্যেই বৈঠক করেছে। এর মধ্যেই ব্যারোট ডেনমার্ক-ফ্রান্স বৈঠকের কথা জানালেন।
স্বায়ত্তশাসিত ডেনিশ অঞ্চল গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ পেতে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
“আমার ধারণা, আমরা এটা পাব,” দ্বীপটির ৫৭ হাজার বাসিন্দা ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকতে চায়’ দাবি করে শনিবার এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প এমনটাই বলেন।
যদিও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়। এর মালিক এখানকার বাসিন্দারা।’
কয়েকদিন আগে ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত এক ফোনালাপে ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসন ‘গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়’ এমনটাই দীপ্ত কণ্ঠে জানিয়ে দেন বলে খবর বেরিয়েছিল।
ওদিকে, ট্রাম্পের হুমকি মোকাবেলায় ডেনমার্ক আর্কটিক অঞ্চলে প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে ২ শ কোটি ইউরো বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে।
ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসেন মঙ্গলবার সকালে বার্লিন এবং প্যারিসে যথাক্রমে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং ব্রাসেলসে নেটো মহাসচিব মার্ক রুত্তের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যারোট জানান, “সোমবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অন্যান্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কোপেনহেগেনকে খুবই দৃঢ় সমর্থন দিয়েছেন। তারা প্রয়োজনে 'সেনা পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রস্তুত'।
তবে ব্যারোট এও বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনল্যান্ড আক্রমণ করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না। তিনি বলেন, “এটা ঘটবে না, তারা ইইউ অঞ্চল আক্রমণ করবে না।”