রুশ বাহিনীর দখলে থাকা পূর্ব ইউক্রেইনের লুহানস্ক নগরীর দুইটি শিল্পাঞ্চলে ইউক্রেইন স্ট্রম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা চালিয়েছে বলে শনিবার দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাজ্য যুদ্ধ সহায়তা হিসেবে ইউক্রেইনকে আকাশ থেকে নিক্ষেপ যোগ্য দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে।
যুদ্ধে সেগুলোর ব্যবহার নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যে দাবি করেছে তার সত্যতা বার্তা সংস্থা রয়টার্স স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
তবে গত বৃহস্পতিবার প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্য বলেছিল, তারা কিইভকে দূরপাল্লার ‘ক্রুজ মিসাইল’ সরবরাহ শুরু করেছে। যা ইউক্রেইনকে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দূরে অবস্থান করেও রুশ বাহিনী এবং তাদের রসদ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়ার সক্ষমতা এনে দিয়েছে।
ইউক্রেইন সেনাবাহিনী সেখানে বড় ধরণের পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
স্ট্রম শ্যাডো ক্রুজ ক্ষেণাস্ত্রের বিষয়ে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইউক্রেইনের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরেই ব্যবহার করতে হবে।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত রাশিয়ার সীমান্তের ভেতরের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করতে ব্যবহার হবে না, এমন আশ্বাস কিইভের কাছ থেকে পেয়েছেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এদিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, শুক্রবার লুহানস্কের একটি পলিমার তৈরির প্ল্যান্ট এবং মাংস প্রক্রিজাত করার কারখায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে।
বলা হয়, ‘‘যুক্তরাজ্য থেকে কিইভ সরকারকে সরবরাহ করা আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য স্ট্রম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে ব্যবহার করা হয়েছে। এই হামলা লন্ডনের দেওয়া বিবৃতির সঙ্গে সংঘর্ষিক। তারা বলেছিল, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বেসরকারি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানবে না।”
ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছুড়তে ব্যবহৃত ইউক্রেইনের দুইটি যুদ্ধবিমান এসইউ-২৪ এবং মিগ-২৯ ভূপাতিত করার দাবিও করেছে রাশিয়া।
সর্বশেষ বুলেটিতে তারা এটাও বলেছে, রুশ বাহিনী পূর্বের নগরী বাখমুতের আরো একটি অঞ্চলের দখল নিয়েছে।
১০ মাসের বেশি সময় ধরে রুশ বাহিনী বাখমুত দখলের লড়াই করে যাচ্ছে।