ফিলিস্তিনিরা বলছেন, নতুন করে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান এবং জোরপূর্বক উচ্ছেদ হচ্ছে একটি ‘জাতিগত নিধন’।
Published : 04 Nov 2024, 11:35 AM
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন, জানিয়েছেন ভূখণ্ডটির চিকিৎসা কর্মীরা।
রোববারের এই হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চলের এলাকাগুলোতে অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই এলাকাগুলোতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রায় এক মাস ধরে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। হামাসের যোদ্ধাদের ফের সংঘটিত হওয়া ঠেকাতে এসব অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি তাদের।
ফিলিস্তিনিরা বলছেন, নতুন করে বিমান হামলা ও স্থল অভিযান এবং জোরপূর্বক উচ্ছেদ হচ্ছে ‘জাতিগত নিধন’, একটি বাফার জোন তৈরির জন্য গাজার উত্তরাঞ্চলীয় দু’টি শহর ও একটি শরণার্থী শিবির লোকশূন্য করাই এর উদ্দেশ্য।
ফিলিস্তিনিদের এই অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েল বলেছে, তারা হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করছে আর ওই যোদ্ধারা এই দুই শহর ও শরণার্থী শিবিরটি থেকে তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত লাহিয়া শহর ও জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের বিভিন্ন বাড়িতে পৃথক হামলায় অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার আটটি ঐতিহাসিক শরণার্থী শিবিরের মধ্যে জাবালিয়াই সবচেয়ে বড়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নতুন অভিযানের মূল লক্ষ্য এই শরণার্থী শিবির।
ইসরায়েলি হামলায় বাকিরা নিহত হয়েছেন গাজা সিটি ও গাজার দক্ষিণাঞ্চলে। খান ইউনিসে একজনসহ দক্ষিণাঞ্চলে মোট আটজন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে চারজন শিশু বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
রোববার দিনের পরবর্তী সময়ে বেইত লাহিয়ার নিকটবর্তী কামাল আদওয়ান হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, হাসপাতালটিতে ট্যাংক থেকে গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলিরা। এতে হাসপাতালে ভর্তি থাকা একটি শিশু গুরুতর আহত হয়ে সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছে।
হাসপাতালটির পরিচালাক হুসাম আবু সাফিয়া জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিনিধি দল হাসপাতালটি পরিদর্শন করে কিছু রোগীকে সরিয়ে নেওয়ার পর হামলার ঘটনাটি ঘটে।
তিনি জানান, ট্যাংকের গোলাবর্ষণে হাসপাতালের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, উঠান ও নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ছিটমহলটিতে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪৩ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।