গাজা যুদ্ধের কারণে খ্রিস্টীয় বড়দিনেও যিশুর জন্মভূমির হোটেল, রেস্তোরাঁ ও স্যুভেনিরের দোকানগুলি ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে আছে।
Published : 25 Dec 2023, 09:54 AM
যিশুখ্রিস্টের জন্মভূমি বেথেলহেম সাধারণত খ্রিস্টীয় বড়দিনের সময় সবচেয়ে ব্যস্ত থাকে, কিন্তু চলতি বছর যুদ্ধ ইসরায়েলে অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি এ শহরটি থেকে পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের দূরে ঠেলে দিয়েছে; ফলে হোটেল, রেস্তোরাঁ ও স্যুভেনিরের দোকানগুলি ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে আছে।
৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা ভূখণ্ডে নির্মম হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের, এর জেরে পশ্চিম তীরেও সহিংসতা বেড়েছে; এই পরিস্থিতিতে বেথেলহেমে কেউ যাচ্ছেনা বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
“আমাদের কোনো অতিথি নেই, একজনও না,” বলেন আলেকজান্ডার হোটেলের মালিক জোয়ি কানাভাটি, তার পরিবার চার প্রজন্ম ধরে বেথেলহেমে বসবাস ও ব্যবসা করে আসছে।
তিনি বলেন, “যেকোনো সময়ের তুলনায় এটিই সবচেয়ে খারাপ ক্রিসমাস। বড়দিনের মধ্যেও বেথেলহেম স্তব্ধ হয়ে আছে। কোনো ক্রিসমাস ট্রি নেই, কোনো আনন্দ নেই, বড়দিন ঘিরে কোনো প্রাণচাঞ্চল্য নেই।”
জেরুজালেমের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত বেথেলহেম পুরো বিশ্ব থেকে আগত পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের থেকে আসা আয়ের ওপর নির্ভরশীল, শহরটির কর্মচাঞ্চল্য মূলত তাদের ঘিরেই। পুণ্যার্থী ও পর্যটকরা এখানকার নেটিভিটি গির্জা দেখতে আসেন, যিশু যেখানে জন্মেছিলেন গির্জাটি সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে বলে বিশ্বাস খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১৬৬ : স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
কানাভাটি জানান, ৭ অক্টোবরের আগে বড়দিনের জন্য তার হোটেলের সব রুম আগাম ভাড়া হয়ে গিয়েছিল, অতিরিক্ত যারা রুমের খোঁজ করছিলেন তাদের জন্য শহরে থাকার বিকল্প ব্যবস্থা করার চেষ্টায় ছিলেন তিনি।
গাজার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সবাই বুকিং বাতিল করে দিয়েছে। আসছে বছরের বুকিংও বাতিল হয়েছে।
“আমরা যত ইমেইল পেয়েছি সবই বুকিং বাতিল করার,” বলেন কানাভাটি।
রয়টার্স টেলিভিশনের সাংবাদিকদের নিজের হোটেল ঘুরিয়ে দেখান তিনি, সেখানে একের পর এক খালি কামরা আর নিস্তব্ধ ডাইনিং রুম দেখা গেছে।
“প্রতি রাতে এখানে অন্তত ১২০ জন ডিনার করতো। ভিড় লেগেই থাকতো। লোকজন, হৈচৈ। এখন কিছু নেই, শূন্য। ক্রিসমাস ব্রেকফাস্ট নেই, ক্রিসমাস ডিনার নেই, কোনো ক্রিসমাস বুফেও নেই,” বলেন তিনি।