শনিবার রাতে ইরান ১৭০টি ড্রোন, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১২০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। যেগুলোর কয়েকটি সিরিয়া ও ইরাক থেকেও উড়ে এসেছে।
Published : 14 Apr 2024, 12:57 PM
ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা হওয়ার পর প্রথমবার এ বিষয়ে জনসম্মুখে জানানো নিজের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তারাই জিতবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ সংক্ষিপ্ত এক পোস্টে তিনি লেখেন, “আমরা বাধা দিয়েছি। আটকে দিয়েছি। একসঙ্গে আমরাই জিতব।”
শনিবার রাতে ইরান থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিনশ’র বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। যেগুলোর কয়েকটি সিরিয়া ও ইরাক থেকেও উড়ে এসেছে।
সেগুলোর ৯৯ শতাংশ ইসরায়েলের আকাশসীমায় প্রবেশের আগেই গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছে। বিভিন্ন ভিডিওতে জেরুজালেমের আকাশে বিস্ফোরণ এবং আগুনের গোলা দেখা গেছে।
আইডিএফ জানায়, ইরান ১৭০টি ড্রোন, ৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১২০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
ইসরায়েলের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা আগে থেকেই ইরানের অপ্রত্যাশিত আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রস্তুত ছিল। এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র সেগুলোকে ধ্বংস করতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে। যুক্তরাজ্যও ইসরায়েলকে সহায়তা করতে ওই অঞ্চলে আরএএফ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছিল। ফ্রান্সও ইরায়েলকে ইরানের হামলা প্রতিহত করতে সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি।
যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক মিত্র জর্ডানও তাদের আকাশসীমায় ইরানের পাঠানো ড্রোন ধ্বংস করার কথা জানিয়েছে, যেগুলো ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল।
বছরের পর বছর ধরে প্রক্সি যুদ্ধ চলে আসলেও এই প্রথম ইরান সরাসরি ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আক্রমণ করেছে। এ হামলার বিরুদ্ধে কিভাবে সাড়া দেওয়া হবে তা এখনো জানায়নি ইসরায়েল।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর দুই ব্রিগেডিয়ারসহ ১৩ কর্মকর্তা নিহত হন। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে এর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছিল ইরান।
ইসরায়েল ওই হামলার দায় স্বীকার না করলেও তারাই এর পেছনে ছিল বলে ব্যাপকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।
ইরানের সমর্থনপুষ্ট ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস গাজায় ইসরায়েলের সঙ্গে লড়াই করছে। এর পাশাপাশি লেবাননের হিজবুল্লাহসহ মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের বিভিন্ন ছায়া গোষ্ঠীর অনেকগুলোই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায়ই হামলা চালাচ্ছে।
ইরানের ড্রোন ভূপাতিত করেছে জর্ডান
গাজা যুদ্ধ ওই অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলার মধ্যেই ইরানি কনস্যুলেটে হামলার ঘটনাটি ঘটে। যে হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিল ইরান।
যার জেরে ইসরায়েলে যেকোনো সময় বড় ধরণের হামলা হতে পারে এমন গুঞ্জন গত কয়েকদিন ধরে বেশ জোরেশোরেই শোনা যাচ্ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে শুক্রবারও সতর্কতা প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানকে ইসরায়েলে হামলা ‘না করতে’ বলেছিলেন।