স্লোভাকিয়ায় ফের জয়ী রুশপন্থি রবার্ট ফিকো, সরকার গঠনে চাই জোট

ইউক্রেইনকে আর কোনো সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে না, এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই বাজিমাত করেছেন স্লোভাকিয়ার রুশপন্থি সাবেক প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনের জন্য বামপন্থি দলের এই নেতাকে জোট বাঁধতে হবে।

শনিবার স্লোভাকিয়ায় আগাম সাধারণ নির্বাচন হয়। ৯৮ শতাংশ ভোট গণনা শেষে রোববার যে ফল প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ফিকোর দল এসএমইআর-এসএসডি পার্টি ২৩ দশমিক ৩৭ ভোট পেয়ে প্রথম স্থানে আছে।

তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লিবারেল প্রোগ্রেসিভ স্লোভাকিয়া (পিএস) ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে। যদিও ভোটের আগে জনমত জরিপে পিএস এর এগিয়ে থাকার চিত্র পাওয়া গিয়েছিল।

এইচএলএএস (ভয়েস) পার্টি ১৫ দশমিক ০৩ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছে। নির্বাচনে কেউ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গঠনে তারা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফিকোর সাবেক ডেপুটি এইচএলএএস পার্টির নেতা পিটার পেলেগ্রিনি উভয় দলের সঙ্গেই জোটের বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন।

ফিকো সরকার গঠন করতে পারলে তার দেশ হাঙ্গেরির সঙ্গে যোগ দিয়ে ইউক্রেইনকে সমর্থনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঐকমত্যকে চ্যালেঞ্জ করবে। নির্বাচনী প্রচারের সময় ফিকো সমর্থকদের বলেছিলেন, যদি তার দল সরকার গঠন করতে পারে, তবে তারা ‘ইউক্রেইনকে আর একটি গুলিও পাঠাবে না’।

২০০৬ থেকে ২০১০ এবং ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুইবার স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন ফিকো। ২০১৮ সালে অনুসন্ধানী সাংবাদিক ইয়ান কুচিয়াক হত্যার জেরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। সংবাদ সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি

(প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)