Published : 02 Dec 2024, 01:00 PM
গিনির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জিরুকোতে একটি ফুটবল ম্যাচে সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণ গেছে।
বিবিসি লিখেছে, রোববারের ওই ঘটনায় পদদলিত হয়ে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী আমাদু উরি বাহ সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেছেন, স্থানীয় হাসপাতালে বেশকিছু মৃতদেহ 'সারিবদ্ধভাবে' পড়ে আছে, মর্গ লাশে ভরে গেছে।
তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানানো হয়নি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সফরকারি দল ল্যাবির সমর্থকরা রেফারির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠের দিকে পাথর নিক্ষেপ করলে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ব্যবহার করে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, "সবকিছুর শুরুটা হয়েছিল রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে। এরপর সমর্থকরা মাঠে ঢুকে পড়ে।"
সোশাল মিডিয়ায় আসা ভিডিও ও ছবিতে স্টেডিয়ামের বাইরে বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা যায়। বিপুল সংখ্যক মানুষ দেয়াল টপকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল এবং মাটিতে বহু মৃতদেহ পড়ে ছিল।
বিবিসি বলেছে, এসব ভিডিওর সত্যতা তারা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ 'শান্তি ফিরিয়ে আনতে' কাজ করছে। হাসপাতালগুলো আহতদের সহায়তা করছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মিডিয়াগিনি জানিয়েছে, গিনির দল জিরুকো ও ল্যাবির মধ্যকার ম্যাচে যখন এই সংঘর্ষ ঘটে, তখন হাজার হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী প্রেসিডেন্ট মামাদি দুম্বুইয়ার সম্মানে আয়োজিত টুর্নামেন্টের একটি অংশ ছিল রোববারের ম্যাচটি।
বিবিসি লিখেছে, গিনির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যাও একটি স্টেডিয়ামে সংঘটিত হয়েছিল। ২০০৯ সালে রাজধানী কোনাক্রির একটি স্টেডিয়ামে বিরোধীদের সমাবেশে সেনারা গুলি চালালে ১৫৬ জনকে হত্যা করেছিল।
স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা বাহিনীর কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ এবং অভিযানকালে অনেককে গুলি, ছুরিকাঘাত, মারধর করা হয়, অনেকেই পদপিষ্ট হয়। ধর্ষণের শিকার হন বহু নারী।
ওই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত সাবেক সামরিক শাসক মুসা দাদিস কামারাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সম্প্রতি ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।