কেজরিওয়াল ৪০৮৯ ভোটের ব্যবধানে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রার্থী প্রবেশ সাহিব সিং ভার্মার (৪৭) কাছে পরাজিত হয়েছেন।
Published : 08 Feb 2025, 08:02 PM
ভারতের রাজনৈতিক দল আম আদমি পার্টির (এএপি) কেন্দ্রীয় আহ্ববায়ক, দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (৫৬) দিল্লির বিধানসভার নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।
শনিবার ভোট গণনার পর দেখা যায়, কেজরিওয়াল ৪০৮৯ ভোটের ব্যবধানে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রার্থী প্রবেশ সাহিব সিং ভার্মার (৪৭) কাছে পরাজিত হয়েছেন।
বুধবার দিল্লির বিধানসভার নির্বাচনের ভোট হয়। শনিবার সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার ছয় ঘণ্টা পর দেখা গেছে দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের মধ্যে বিজেপি ৪৮টিতে এগিয়ে রয়েছে আর এএপি এগিয়ে রয়েছে ২২ আসনে। কংগ্রেস তৃতীয়বারের মতো কোনো আসন পাচ্ছেনা বলে প্রায় পরিষ্কার হয়ে গেছে।
ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফলাফল অনুযায়ী, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ৪৭টি আসনে জয় পেয়েছে আর একটিতে এগিয়ে রয়েছে। আর এএপি ২২টি আসনে জয়ী হয়েছে।
ভারতের রাজধানী অঞ্চল দিল্লিতে সরকার গঠন করতে প্রয়োজনীয় ৩৬ আসন ইতোমধ্যে কব্জা হওয়ায় ২৬ বছর পর বড় জয় নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি।
এর আগে ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৬২ আসনে জয় পেয়েছিল এএপি আর বিজেপি পেয়েছিল মাত্র আটটি।
কেজরিওয়ালের পাশাপাশি এএপির অন্য হেভিওয়েটরা এ নির্বাচনের পরাজিত হয়েছেন তাদের মধ্যে সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসৌদিয়া অন্যতম। তবে দিল্লির বর্তমান এএপি দলীয় মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মালের্না প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনে হারায় পর এক ভিডিও বার্তায় কেজরিওয়াল জনতার বায়কে ‘মাথা পেতে’ নিয়ে জয়ী বিজেপিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। টানা ১০ বছর সরকারের থাকার পর এখন ‘গঠনমূলক’ বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবর অনুযায়ী, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের দুই শরীক এএপি ও ভারতীয় কংগ্রেসের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই নির্বাচনে এ বিপর্যয়। এ নির্বাচনে এএপি ক্ষমতা হারিয়েছে আর কংগ্রেস ফিরেছে শূন্য হাতে। বিজেপি ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ফাটলের সুফল পেয়েছে।
দিল্লির যে আসন থেকে কেজরিওয়াল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সেখান কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন সন্দীপ দিক্ষিত। সন্দীপ দিল্লির কংগ্রেস দলীয় সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শীলা দিক্ষিতের ছেলে। দিল্লির তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী শীলা কেজরিওয়ালের এএপির কাছে হেরেই ক্ষমতা হারিয়েছিলেন।
এবার তার পুত্রের জামানত বাজেয়াপ্ত হলেও সন্দীপ কেজরিওয়ালের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বিশ্লেষণ। কারণ কেজরিওয়াল হেরেছেন ৪০৮৯ ভোটে আর সন্দীপ পেয়েছেন ৪৫৬৮ ভোট। সন্দীপই কেজরিওয়াল ও ভার্মার মধ্যে ভোটের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন যা কংগ্রেস-এএপির জোট হলে এড়ানো যেতো বলে মনে করছে গণমাধ্যমগুলো।
কেজরিওয়াল ২০১৩ থেকে ২০১৪ এবং ২০১৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।