মিউজিয়ামের চেয়ারম্যান জর্জ ওসবোর্ন বলেছেন, “আমরা চুরি যাওয়া কিছু নির্দশন উদ্ধার করতে শুরু করেছি।”
Published : 26 Aug 2023, 07:22 PM
ব্রিটিশ মিউজিয়াম থেকে প্রায় ২ হাজার সম্পদ চুরি গেছে বলে ধারণা করা হয়। তবে এইসব সম্পদের কিছু কিছু উদ্ধার হতে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান জর্জ ওসবোর্ন।
সাবেক এই চ্যান্সেলর স্বীকার করেছেন যে চুরির ঘটনায় জাদুঘরের সুনাম নষ্ট হয়েছে। তবে এখন সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হচ্ছে।
চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জাদুঘরের একজন কর্মী ইতোমধ্যে বরখাস্ত হয়েছেন। চুরি হওয়া ঐতিহাসিক নিদর্শন উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করেছেন এর পরিচালক হার্টউইগ ফিশার। একইসঙ্গে দায়িত্ব থেকে সাময়িক ইস্তফা দিয়েছেন তার ডেপুটি জোনাথন ইউলিয়ামসও।
বিবিসি জানায়, এমাসের শুরুর দিকে বেশ কিছু সংখ্যক নিদর্শন খোয়া যাওয়া, চুরি যাওয়া কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর সামনে আসার পর থেকেই মিউজয়াম কর্তৃপক্ষ চাপে ছিল।
চুরি যাওয়া সম্পদের মধ্যে ছিল স্বর্ণালঙ্কার, রত্নপাথর ও গ্লাস। সেগুলো মিউজিয়ামে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল না। বেশিরভাগ সামগ্রীই অ্যাকাডেমিক ও গবেষণার কাজে একটি স্টোর রুমে সংরক্ষিত ছিল।
মিউজিয়ামের চেয়ারম্যান জর্জ ওসবোর্ন বিবিসি রেডিও- ৪ এর টুডে প্রোগ্রামে বলেছেন, “আমরা চুরি যাওয়া কিছু নির্দশন উদ্ধার করতে শুরু করেছি। আমাদের ধারণা আমরা অনেক দীর্ঘ সময় ধরে চুরির শিকার হয়েছি। চুরি ঠেকাতে আরও বেশি কিছু করাও যেত।”
নিখোঁজ জিনিসগুলোর হদিস মিলেছে কোথায়- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অ্যান্টিকুরিয়ান কমিউনিটি আমাদেরকে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করছে এবং কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে।
সৎ মানুষেরা চুরি হওয়া জিনিস পেলে সেটি ফেরত দেবে বলে ওসবোর্ন আস্থা প্রকাশ করেন। তবে বলেন, অন্যরা তা নাও করতে পারে।
১৭৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্রিটিশ মিউজিয়াম। এতে প্রায় ৮০ লাখ মূল্যবান নিদর্শন সংরক্ষণ করা হয়। তবে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মাত্র ৮০ হাজার জিনিস সাধারণ মানুষকে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছিল। বাকিগুলোর জায়গা হয় সংরক্ষণাগারে।