আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব আনেন ইসরায়েলপন্থি রিপাবলিকানরা।
Published : 05 Jun 2024, 07:13 PM
আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)-এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের একটি বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি পাস হয়।
আইসিসি কৌসুলিরা গাজা যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন করার পর যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিল।
আইসিসি’র বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব এনেছিলেন ইসরায়েলপন্থি রিপাবলিকানরা। এতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির চেষ্টায় জড়িত আইসিসি কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ এবং দেশটিতে থাকা তাদের সম্পদ লেনদেন নিষিদ্ধের প্রস্তাব রাখা হয়।
বিলটি ২৪৭-১৫৫ ভোটে পাস হয়েছে। বিলে ৪২ জন ডেমোক্র্যাটও সমর্থন জানান। কোনও রিপাবলিকানই ‘না’ ভোট দেননি। তবে দুইজন রিপাবলিকান ব্যালটে ভোট না দিয়ে কেবল ‘উপস্থিত’ ভোট দিয়েছে।
বিলটি প্রতিনিধি পরিষদে পাস হলেও এটি আইনে পরিণত হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে গাজায় যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ ইসরায়েলকে তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখারই প্রতিফলন।
গত মাসে ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইসিসি কৌঁসুলির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়ার সমালোচনা করেছিল হোয়াইট হাউজ।
গতমাসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং হামাসের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম এ এ খান।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে আইসিসির প্রি-ট্রাইল চেম্বার ১-এ আবেদন করেন করিম খান।
যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সদস্য নয়। তবে এর আগে ইউক্রেইন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসি-র গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ আদালতটির অন্যান্য বিচারকাজকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিনিধি পরিষদে মঙ্গলবার পাস হওয়া বিলে আমেরিকান বা ইসরায়েলসহ আইসিসি সদস্য নয় এমন মার্কিন মিত্র দেশগুলোর নাগরিকদের বিরুদ্ধে যদি আইসিসিতে আইনি কোনও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে সেই প্রক্রিয়ায় জড়িতদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে ওইসব আইসিসি কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধার মুখে পড়বেন। তাদের যেকোনও মার্কিন ভিসা প্রত্যাহার করা হতে পারে এমনকী যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পত্তির লেনদেনেও কড়াকড়ি করা হতে পারে।